বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের। মৃতের নাম সব্যসাচী চক্রবর্তী। কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির এ ই ব্লকের ৬৬ নম্বর বাড়ির একতলায় থাকতেন বছর চল্লিশের সব্যসাচী। মঙ্গলবার ভোররাতে স্থানীয়রা দেখতে পান ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে। দ্রুত খবর পাঠানো হয় পুলিশ ও দমকলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরুও করেন। তবে আগুনের ভয়াবহতা এতোটাই বেশি ছিল যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু সময় লাগে। আর এই আগুনের ভিতরেই আটকে পড়েছিলেন সব্যসাচী। এরপর তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। এদিকে কী ভাবে আগুন লাগলো তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল।
এরপর মঙ্গলবার কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে গেলে নজরে আসে ওই এ ই ব্লকের ৬৬ নম্বর বাড়িটা কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। বাড়ির একাংশে আগুনের কালো দাগ স্পষ্ট। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এই বাড়িটিতে। আর এই আগুনেই প্রাণ যায় বিজেপি নেতার প্রাক্তন আপ্ত–সহায়কের। তবে সব্যসাচীবাবুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে রহস্য। কীভাবে মৃত্যু হল, আর কেনই বা তিনি পালানোর পথ পাননি তিনি তা নিয়ে তৈরি হয়েছে হাজারো প্রশ্ন। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের দেহ আপাতত আর জি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই কিছুটা হলেও কাটবে রহস্য।
এরপর মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের মৃত্যুর খবর পান বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। গোটা ঘটনায় শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। জানান, ‘অনেক দিন ধরেই রাতে ঘুম হত না। আমি বলেছিলাম ডাক্তার দেখাও। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় চলে আসতে বলি। এরপরই এমন ঘটনা। ওর মতো ভাল ছেলে আজকের পৃথিবীতে পাওয়া কঠিন। আমার ছেলের মতো দেখতাম।‘