দ্রুত খুঁজে ফিরিয়ে আনতে হবে ভোলা, সুমন আর বাসন্তীকে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে পাচার করা হয়েছে এদের। আর সেই কারণে বিহার সরকারের সঙ্গে রাজ্যের বন দপ্তরের প্রধানকে যোগাযোগ করারও নির্দেশ দেয় বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কপূর এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। একইসঙ্গে বিচারপতি রবিকৃষ্ণ কপূর এবং বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এও জানায়, ভোলা, সুমনআরবাসন্তীপশ্চিমবঙ্গসরকারেরসম্পত্তি।
আদতে এই ভোলা, সুমন আর বাসন্তী তিনটি হাতি। এদিকে হাতি পাচার নিয়ে কেপ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিল। তাদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে ২৪টি হাতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেআইনি ভাবে অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। এদিকে মামলাকারী কেপ ফাউন্ডেশনের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে হাতি পঠাতে গেলে রাজ্যের বন দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। ভিন রাজ্যে যে হাতি পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ভোলা, সুমন এবং বাসন্তী নামে তিনটি হাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, ওই তিনটি হাতি আগে নটরাজ সার্কাসে ছিল। ২০১৭ সালে এক উপহারপত্রের মাধ্যমে সার্কাস কর্তৃপক্ষ এই হাতিগুলিকে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার এক আশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।গোপালগঞ্জের আশ্রমের মহন্ত সত্যদেব দাসের দাবি, তিনি এখন এই হাতিগুলোর মালিক। অথচ ২০১৩ সালে নটরাজ সার্কাসের মালিকানার শংসাপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরপরও তারা ২০১৭ সালে কী ভাবে হাতিকে আশ্রমকে দিল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের উদ্দেশে আদালত জানায়, হাতি পাচার রোধে গা–ছাড়া মনোভাব নিলে চলবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘জীবজন্তুর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।’ একইসঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, ভবিষ্যতে হাতি পাচার রুখতে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে।