ওড়িশার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জীবন বিমা সংস্থা হিসেবে ভারতী অ্যাক্সা লাইফ ইনসিওরেন্স চারটি নতুন শহরে তার সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করল।যে চারটি শহরে তারা এই সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে সেগুলি হল নয়াগড়, পুরী, কেওনঝড়, কেন্দ্রাপাড়া। এই পদক্ষেপ কোম্পানির বিমা সংক্রান্ত সচেতনতা এবং প্রসার বাড়ানোর পাশাপাশি এই অনগ্রসর অঞ্চলগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি খুব স্পষ্ট ভাবে দিচ্ছে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের প্রতি প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে, কোম্পানি ভারত সরকারের ন্যাশানাল অ্যাপ্রেনটিসশিপ ট্রেনিং স্কিম (এনএটিএস) এর অধীনে ওড়িশায় তার ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রোগ্রাম বিমা ভারতী চালু করেছে। একইসঙ্গে কোম্পানি প্রথম সম্পূর্ণ মহিলাদের অ্যাপ্রেনটিস ব্যাচের জন্য ট্রেনিং সেশনও শুরু করেছে, যা তাদের ব্যবসায়িক বিকাশ, পণ্য জ্ঞান এবং বিপণন কার্যক্রমের মতো বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপগুলিতে হাতে–কলমে শেখার ব্যবস্থা করবে।
এটি কোম্পানিকে স্থানীয় যুবকদের, বিশেষ করে মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করবে এবং বিমা ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিংও প্রদান করবে। এর ফলে শিক্ষানবিশরা কর্মক্ষমতা–ভিত্তিক প্রণোদনার জন্যও যোগ্য হবেন, যাকর্মসূচিরসময়তাদেরসামগ্রিকআয়বাড়ানোরসুযোগদেবে।
এই অ্যাপ্রেনটিসশিপ–এর সময়কাল ৬ মাস। সফলভাবে সম্পূর্ণ করার পর অ্যাপ্রেনটিসরা ভারত সরকারের থেকে শংসাপত্র পাবে, যা দেশের সমস্ত এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে স্বীকৃত।
এই প্রসঙ্গে ভারতী এএক্সএ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নিউ রেভিনিউ ভার্টিক্যালস–এর চিফ বিজনেস অফিসার মুরলী জালান জানান, ‘ওড়িশা আমাদের জন্য কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে এবং এই অঞ্চলে আমাদের প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে আমাদের গ্রাহকদের আস্থা। নতুন বাজারে আমাদের সম্প্রসারণ এবং বিমা ভারতীর মাধ্যমে, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিভাবানদের বিনিয়োগ করছি–তাদের শিল্প–প্রাসঙ্গিক দক্ষতার সাথে ক্ষমতায়িত করছি। এই উদ্যোগটি বিমা সচেতনতা তৈরি এবং বাজারে যুব কর্মসংস্থানকে সক্ষম করার জন্য আমাদের দ্বৈত প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এই সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি ভারতী এএক্সএ লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে বিমা সচেতনতার সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে একত্রিত করতে সক্ষম করে, যা স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ওড়িশা জুড়ে বিমার বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।’