ভারতকে কোণঠাসা করতে ছক সাজিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান এবং চিন। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দিলেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। চিনের কিনডাওতে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিলেও সম্মেলন শেষে বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে সই-ই করলেন না রাজনাথ সিং৷ আর এই সই না করার কারণ হিসেবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এও জানান, যে বিবৃতি তৈরি করা হয়েছিল তাতে সই করলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানই বদলে যেত।
আর এখানেই প্রতিরক্ষান্ত্রী রাজনাথের ধারনা, ভারতকে ফাঁদে ফেলতে চিন এবং পাকিস্তান মিলেই এই কারসাজি করেছিল৷ যদিও তিনিন সেই ফাঁদে পা দেননি৷ আর ভারতের এই পদক্ষেপেই বেনজির ভাবে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও–র সদস্য দেশগুলির মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা প্রথমবার সামনে চলে এল। আর এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল চিনের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা নিয়ে৷
সূত্রের খবর এসসিও–র সম্মেলনের শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যে যৌথ বিবৃতি তৈরি করা হয়, সেখানে গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার কোনও উল্লেখই ছিল না। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে কোনও উল্লেখই ছিল না সেখানে। ফলে এই যৌথ বিবৃতিতে সই করে দিলে সরকারি ভাবে পাকিস্তানের অভিযোগে সিলমোহর পড়ে যেত৷ আর তা করতে পারলেই বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে বালুচিস্তানে খুন, হত্যার ধারা বজায় রাখতে সুবিধে হত ইসলামাবাদের৷ কিন্তু এসসিও–র নথিতে ভারত সই না করায় সেই পরিকল্পনা আপাতত বানচাল হয়ে যায়। এর আগেই অবশ্য ভারত সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র এসসিও–র সদস্য দেশগুলির হাতে তুলে দেয়। পহেলগাঁও নিয়ে নাম না করে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনাও করেন রাজনাথ। সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে যারা, সেই সমস্ত দেশের সমালোচনা করার জন্যও এসসিও–র সদস্য দেশগুলির কাছে দাবি জানান রাজনাথ৷