২০২৫–২০২৭ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেস্ট ক্রিকেটে একাধিক নতুন নিয়ম চালু করল আইসিসি। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে গলেতে শুরু হওয়া প্রথম টেস্ট থেকেই এই নিয়মগুলি কার্যকর করা হয়েছে।
এই নতুন সব নিয়মের মধ্যে প্রথমেই নজরে আসছে,
স্টপ ক্লকের ব্যবহার। স্লো ওভার রেট রুখতে টেস্ট ক্রিকেটেও এবার স্টপ ক্লক চালু করা হয়েছে। প্রতি ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে ফিল্ডিং দলকে। মাঠে ইলেকট্রনিক ক্লক থাকবে যা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত গণনা করবে। ফিল্ডিং দলকে দু’টি ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে ব্যাটিং দল পাবে ৫ পেনাল্টি রান। এই ওয়ার্নিং ৮০ ওভারের পর থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে।
দ্বিতীয পরিবর্তন আসছে শর্ট রান নেওয়ার ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে আইসিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছ, শর্ট রান ইচ্ছাকৃত হলে ব্যাটার নির্বাচন করবে ফিল্ডিং দল। আইসিসি জানিয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃত শর্ট রান’ নিতে গিয়ে ধরা পড়লে ব্যাটিং দলের সব রান কেটে দেওয়া হবে, এবং নট আউট ব্যাটারকে ব্যাটিং প্রান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে পাঁচ রান পাবে ফিল্ডিং দল এবং ফিল্ডিং দলই নির্ধারণ করবে পরবর্তী বলে কোন ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকবে।
পাশাপাশি আনা হয়েছে লালার ব্যবহারেও নতুন ব্যাখ্যা। এখন থেকে বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে আগের মতোই। তবে এখন থেকে বলের উপর লালার প্রয়োগ হলে বল পরিবর্তন বাধ্যতামূলক নয়। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বল পাল্টানোর উদ্দেশ্যে এমন করলে সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিআরএস–এও এসেছে নয়া নিয়ম। ডিআরএস–এ– দু’দিক থেকে রিভিউ হলে যদি একই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটার ও অন–ফিল্ড আম্পায়ার দু’জনেই রিভিউ চায়, তবে আগে যে রিভিউ এসেছে, তা আগে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ ক্যাচ আউট চ্যালেঞ্জ করলে যদি রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগেছে, তাহলে পরবর্তীভাবে এলবিডব্লিউ রিভিউ হবে এবং ‘আউট’ সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। বল ট্র্যাকিংয়ে যদি ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখায়, তাহলে ব্যাটারকে আউট বলে ধরা হবে।
এছাড়াও নয়া নিয়ম আনা হয়েছে নো–বলে ক্যাচের ক্ষেত্রেও। এখন থেকে নো–বলে ক্যাচ নেওয়া হলে ভিডিও আম্পায়ার দেখবেন ক্যাচটি সঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। যদি ক্যাচ ঠিকঠাক ধরা হয়ে থাকে, তবে ব্যাটিং দল পাবে নো–বলের জন্য একটি অতিরিক্ত রান। যদি ক্যাচ পরিষ্কার না হয়, তবে ব্যাটাররা যত রান নেন তা দেওয়া হবে।