দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এবার মুখ খুলল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাটার্য। এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা পরিষ্কার জানান, ‘কসবা কাণ্ডে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, ধর্ষণ নিয়ে কোনও রাজনীতি হয় না। নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। আমরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি’। এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা বক্তব্য রাখার সময় সামনে আসে অপরাজিত বিলের প্রসঙ্গও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা এই ধরনের ঘটনায় দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় তার জন্য অপরাজিতা বিল পাশ করিয়েছি। আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এই বিল আইনে পরিণত করা হয়। আমরা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আপোস করি না। কারা করেন সবাই জানে। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।’
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের ছবি নিয়ে একাধিক পোস্ট করেছে বিরোধী শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, অনেকেই এই ঘটনায় তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলছি এই ঘটনার কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া দরকার। কিন্তু অনেকের এখন লক্ষ্য দলকে কালিমালিপ্ত করা। তাঁদের লক্ষ্য এই ব্যাধিকে সমাজ থেকে সরানো নয়।’ তবে মূল অভিযুক্ত যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করত সে বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন তৃণাঙ্কুর। এই ঘটনায় বিজেপি, সিপিএমকে বিদ্ধ করতে ছাড়েনি তৃণমূলকংগ্রেস।
একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ‘বিজেপি অনেক বড় বড় কথা বলছে। স্বয়ং রাজ্যপালের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি কোথায় ছিল তখন? মোদির সঙ্গেও অনেকের ছবি দেখা গিয়েছে। আমরাও সেই ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি ল’কলেজের মধ্যেই তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। অভিযোগকারিণীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, ২৫ জুন সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পঞ্চাশের মধ্যবর্তী সময়কালে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তকে ২৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে অপর অভিযুক্তকে ২৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয় তার বাড়ি থেকে।