রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল নেতারা, শুভেন্দু

কসবা ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার এক তৃণমূল যুব নেতা এরপরই কসবা কাণ্ডে শাসক দলকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, রাজ্যের কলেজগুলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল নেতারা। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ কসবা কলেজের ঘটনা।

এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এদিন এও বলেন, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এখন আলিপুর আদালতে লপ্র্যাকটিস করেন। তার সঙ্গে আরও যে ২ জন গ্রেফতার হয়েছেন তাদের নাম জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে।

শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, কলেজ ক্যাম্পাসের মতো পবিত্র জায়গা, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য আসে, সেখানে এমন নৃশংসতা সমাজের জন্য লজ্জাজনক। তিনি এই ঘটনার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিও তোলেন বিজেপি বিধায়ক।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে। ছাত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, ওই তিন যুবক কলেজ চত্বরের মধ্যেই তাঁকে নিগ্রহ করে। পুলিশকে জানিয়েছেন, পদ দেওয়ার কথা বলে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন মনোজিৎ সহ বাকিরা। বুধবার দুপুরে কলেজে ঢোকার পর একাধিকবার তাঁকে মৌখিকভাবে হেনস্থা করা হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি অভিযুক্তদের প্রস্তাবে রাজি না হলে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে কলেজের একটি রুমে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি। অভিযোগ, মনোজিৎ যখন তাঁকে ধর্ষণ করছিলেন তখন অন্য দু’জন ঘরের দরজা পাহারা দিচ্ছিলেন।

এই ঘটনায় ধৃতদের আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =