কসবার ল’ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করল। যারা নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।
নগরপাল মনোজ ভার্মা এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘যে ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই সেন্সিটিভ। তদন্ত চলছে। আমাদের কাছে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য এসেছে, প্রমাণ জোগাড় করেছি। যা যা অ্যাকশন নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।‘ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, সমস্ত তথ্য যাচাই করে তদন্ত চলছে। এখনই সব সংবাদমাধ্যমে বলা যাবে না। তবে সিপি আশ্বাস দিয়েছেন, দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে।এদিকে তিনি আরও একটি বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছেন সাধারণ মানুষকে। সিপি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ কসবা ল কলেজের নির্যাতিতার নাম–পরিচয় প্রকাশের চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের গাইডলাইন রয়েছে যাতে নির্যাতিতার পরিচয় কোনও ভাবে প্রকাশ না করা হয়। সেটা মেনে চলতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজে জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসাধারণকে দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যে তারা যেন এমন কোনও তথ্য শেয়ার না করে যা ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারে।
এদিকে কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার ৬ দিন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে তিনজন এবং পরে একজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু আদতে এদের কারও শাস্তি হবে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ। যদিও কলকাতা পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করেন, দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হবে।