ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার তদন্তে দায়ের করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যসী কার্তিক মহারাজ। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই এফআইআর–এর তদন্তে তাঁকে তলব করেছিল নবগ্রাম থানার পুলিশ। তবে থানায় হাজিরা না দিয়ে এদিন এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে সোজা পৌঁছে যান কার্তিক মহারাজ। মামলাকারী কার্তিকের আবেদন, তিনি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মানুষ। পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। একজন মহিলা থানায় গিয়ে ১৩ বছর আগে কিছু হয়েছে। সেটার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নোটিস দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘এটা সাধু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যে সাধু সন্তরা অনাচারের প্রতিবাদ করলেই তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। তা খারিজ করুক আদালত।’ মামলাটি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই মহারাজের পুলিশি তলবে হাজিরার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন নির্যাতিতা মহিলা নবগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন, কার্তিক মহারাজ ২০১৩ সালে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনায় কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৩৭৬ (২) , ৩১৩, ৫০৬, ৪১৭ ধারায় মামলা রুজু করে। এরপর সোমবারই কার্তিক মহারাজের কাছে নবগ্রাম থানার তরফ থেকে একটি নোটিস যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জুলাই হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছিল কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে।
এরপর মঙ্গলবার কার্তিক মহারাজকে তলব করে নবগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর কার্তিক মহারাজ জানান, ‘আমি একজন সন্ন্যাসী। আমি জানি সত্যের জয় হবেই।’ অন্যদিকে অভিযোগকারিনী জানান, তাঁকে অভিযোগ দায়ের করতে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে।