নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আদালতে বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে জানান, মন্ত্রিসভায় যে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল সেখানে নিয়োগেও নেওয়া হয়েছিল টাকা। অর্থাত্, সুপার নিউমেরারি পোস্টে নিয়োগ পেতেও টাকা দেওয়া হয়।তবে কতজন টাকা দিয়েছিলেন তা জানাতে পারেনি সিবিআই। সেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী।। একইসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে আদালতে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, শারীরশিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষায় কত জন টাকা দিয়েছেন, সেটা তদন্তে পৃথকীকরণ সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে এই পৃথকীকরণ সম্ভব নয়, কারণ এ ব্যাপারে এফআইআর করতে আদালতের অনুমতি লাগবে। সঙ্গে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এও জানানো হয়, সুপার নিউমেরারি মামলায় তদন্ত চললেও এই ধরণের মামলা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি, ফলে সেক্ষেত্রেও সমস্যা থাকছে। তাই আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। আদালতে জানালেন সিবিআই আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী। ফের আগামী ৪ জুলাই মামলা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন এসএসসির শারীরশিক্ষা – কর্মশিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও চাকরি বিক্রি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখতে বলেন সিবিআইকে। সঙ্গে এও বলেছিলেন, সিবিআইয়ের পক্ষে এই খবর বার করা বেশি কষ্টকর হবে না। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিত সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগেও হয়েছিল টাকার লেনদেন।রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই অতিরিক্ত শূন্যপদ।তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আর তাতে নিয়োগ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কতজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সেই তথ্য আমাদের কাছে এখন নেই। সেই তথ্য বার করতে গেলে সিবিআইকে আদালতের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এরপরই সিবিআইকে এফআইআ দায়েরের অনুমতি দিয়ে কারচুপির সংখ্যা খুঁজে বার করতে বলেন বিচারপতি বসু। আগামী ৪ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি।