কসবা কাণ্ডে  বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে

কসবা গণধর্ষণ মামলায়  বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিয়োগ করা হল বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে। যা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এক কঠোর পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। প্রসঙ্গত, সদ্য রাজ্যে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের পরপর দুটো ঘটনায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।সেই মামলাগুলিতে সরকারি আইনজীবী ছিলেন বিভাস চট্টোপাধ্যায়।ফাঁসির পক্ষে জোর সওয়াল করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।শেষমেশ বিচারক অবশ্য ফাঁসির নির্দেশই দেন। সেই কারণেই বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এদিকে মঙ্গলবারই আলিপুর জেলা আদালতে ধৃতদের পেশ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত তিন জনের তরফ থেকে কোনও বেল পিটিশন কোর্টে করা হয়নি। তবে জামিনের আবেদন না করলেও, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে ধরেন অভিযুক্তের আইনজীবী। এদিকে, সরকারি তরফে আইনজীবী জানান, ‘পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সঙ্গে ডিজিটাল এভিডেন্স সব মিলে যাচ্ছে। নির্যাতিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ইনহেলার এনে তাঁকে সুস্থ করে ফের অত্যাচার করা হয়েছে। এতটাই বেপরোয়া ছিলেন মূল অভিযুক্ত।এরপই গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফের হেফাজতে চেয়ে সওয়াল করে সরকার।

উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এই ঘটনায় কড়া অবস্থান করেছে রাজ্য সরকার। এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক জনকে। কসবার এই ঘটনায় যাতে মূল অভিযুক্তের কড়া শাস্তি হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 2 =