মনোজিতের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন আরও এক নির্যাতিতা। তিনি জানান, এই মনোজিত যখন তাঁকে যৌন নির্যাতন করে তখন তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ২০২৩ সালে পিকনিকে বজবজের লজে তাঁর ওপর চলে এই যৌন নির্যাতনের ঘটনা। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, জিন্সের প্যান্ট টেনে খুলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনা যাতে অন্য কারও কানে না পৌঁছায় তার জন্য ঘর বন্ধ করে লাউড স্পিকার বাজিয়ে চলে তাণ্ডব। আর এটা চলেছিল প্রায় ৪০ মিনিটের মতো। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতা এও জানান, তাঁকে অ্যাসিড হামলার হুমকিও দিয়েছিল এই মনোজিত। পাশাপাশি নির্যাতিতার বাবা মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এও জানান, তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছিল এই মনোজিত-ই। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ছিল রানির মতো করে রাখার। পাশাপাশি মনোজিত এও বলেছিল, ‘ আমায় বিয়ে কর, অ্যাডমিশন থেকেই তোকে ভাল লেগেছে।’
নির্যাতিতা ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ‘রুমে ঢুকে নিজের শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আসে আমার দিকে। আমাকে থাপ্পড় মেরে অত্যাচার করা হয়।’ সঙ্গে এও জানান, প্রত্যাখ্যানের পর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে অত্যাচার করা হয়েছিল। থাপ্পড় মেরে অজ্ঞানও করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর পুরুষাঙ্গে মেরে কোনওক্রমে তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন। তবে এতদিন ভয়ে তিনি মুখ খুলতে পারেননি।
এই ঘটনা সূত্রে নির্যাতিতা এও জানান, মনোজিত তাঁকে বলেছিল, কালীঘাটে নাকি ওর ১০ বিঘা জমি রয়েছে। তবে কালীঘাটে যে মনোজিত থাকে তা তখনও তিনি জানতেন না। সঙ্গে এও বলেছিল, সাত বছরের সম্পর্ক ছেড়েও আমার সঙ্গে থাকতে পারে। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে আগে তিনি অভিযোগ করার চেষ্টা করেও অনেকে তাঁকে সাবধান করেন। সঙ্গে এও জানানো হয়েছিল মূল অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী। পাশাাপাশি এও জানানো হয়, ২০১২–২০২৩ এই মনোজিতের নামে একাধিক অভিযোগ ছিল। তবে যে অভিযোগ করত, তার নামেই গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট অশোক দেবের কাছে ফোন চলে যেত।
এদিকে এই প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, আদালতে পুলিশও জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত বেশ প্রভাবশালী। এদিকে এই জ্যেঠুর পরিচয়ও সামনে এসেছে। যদিও বিধায়ক অশোক দেবের বক্তব্য, তিনি মনোজিতকে চেনেন মাত্র।এর থেকে বেশি কিছু নয়।