বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা বা চিটফান্ডের কেলেঙ্কারিতে আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য যে কমিটি গড়া হয়েছিল এবার তারাই আদালতে প্রশ্নের মুখে।
গত প্রায় ১০ বছরে কত কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার কত বিক্রি করা হয়েছে, তা থেকে কোন কোম্পানির কত আমানতকারীকে কত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে এর কোনও তথ্য দিতে পারেনি বিচারপতি তালুকদার কমিটি। একইভাবে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে রোজ ভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে গঠিত বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটির ভূমিকাতেও। এরপরই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী শুনানিতে বিচারপতি তালুকদার কমিটির নির্দেশ দেয় বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলে। একইসঙ্গে দিলীপ শেঠ কমিটিকেও নির্দেশ দেওয়া হয় আপাতত ওই কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। পারবে না কোনও সম্পত্তি বিক্রি করতেও। এর পাশাপাশি কোনও শেয়ার হাতবদল যাতে না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছে আদালত। কমিটি জানিয়েছে, তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই পদক্ষেপ করবে। রোজ ভ্যালি কমিটি নিয়ে বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, কমিটি আগের দিন যে রিপোর্ট দিয়েছে তা একেবারেই সন্তোষজনক নয়। রিপোর্টে অনেক রকম ফাঁক রয়েছে। আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর যে মূল লক্ষ্য, তা থেকেও কমিটি বহু দূরে সরে গিয়েছে।