অন্যদিকে কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার তদন্তভার হাতে নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর। বুধবার দুপুরে কসবা থানার থেকে মামলার কেস ডায়েরি পাঠানো হয় লালবাজারের গোযন্জা দপ্তরে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছেন পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে মূলত গণধর্ষণের অভিযোগ তো রয়েছেই, সঙ্গে যোগ হযেছে আরও কয়েকটি ফৌজদারি ধারাও।
এদিকে এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। প্রথমে পাঁচ সদস্যের দল তৈরি হলেও পরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়। তবে মামলার গুরুত্ব ও জটিলতা ক্রমেই বাড়তে থাকায় এবার এই মামলার তদন্তভার সরাসরি গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, মামলায় নতুন করে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। গণধর্ষণের পাশাপাশি এবার অপহরণ এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ধারাও সংযোজন করা হয়েছে।এদিকে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার জবানবন্দি ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী দল। গোয়েন্দা বিভাগ এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্তের গতিপথ নির্ধারণ করবে।
কসবার এই গণধর্ষণ কাণ্ড সামনে আসতেই কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট দুই জায়গাতেই মামলা দায়ের হয়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মামলা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবিতে একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদন জমা পড়েছে।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর উপর যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য গোটা রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন রাতে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসে ২৭ জুন। ওইদিনই মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় কসবার এই সরকারি ল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। উচ্চশিক্ষা দফতর কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাত দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশিকায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা পর্যন্ত একাধিক পদক্ষেপের কথার স্পষ্ট উল্লেখ আছে।