চিৎপুর জোড়া খুনে ফাঁসির সাজা শিয়ালদহ আদালতের

চিৎপুর জোড়া খুনে সাজা ঘোষণা  শিয়ালদহ আদালতের। বুধবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, দশ বছর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই নিজের বাড়িতে খুন হন স্বামীস্ত্রী, প্রাণ গোবিন্দ দাস ও রেণুকা দাস। লোহার রড দিয়ে মাথায় একাধিক বার আঘাত করে খুন করা হয়েছিল এই দম্পতিকে। পেশায় শিক্ষক ছিলেন গোবিন্দবাবু। এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় ওই বাড়ির পরিচারক সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পাকে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, সোনার গয়না ও টাকা লুঠের উদ্দেশ্যে স্বামীস্ত্রীকে খুন করেছিল পরিচারক সঞ্জয়।  এই ঘটনায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত১। এরপরই এই অপরাধের প্রেক্ষিতে ফাঁসির সাজা দেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস।

প্রসঙ্গত, আরজি করে ধর্ষণ এবং হত্যা মামলাবিরলের মধ্যে বিরলতমবলে বিবেচনা করেননি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে। সেই বিচারকই দম্পতিকে হত্যার মামলায় সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় প্রাণগোবিন্দ দাস ও রেনুকা দাস খুন হয়েছিলেন নিজেদের ফ্ল্যাটে। তাঁরা দুজনেই অধ্যাপনা করতেন এক সময়ে। ঘটনার সময় ছিলেন পেনশনভোগী। অভিযুক্ত বাপ্পা খুনের পর পালিয়ে যায় নন্দীগ্রামে। পরে সে কলকাতায় ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সঞ্জয়কে জেরা করে পুলিশ ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে লোহার পাইপটি উদ্ধার করে। ওই পাইপ দিয়েই আঘাত করা হয়েছিল দম্পতির মাথায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =