বন্ধন ব্যাংক-এর সিএসআর-এর সহায়তা পেল আসাম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন

সর্বভারতীয় ইউনিভার্সাল ব্যাংক, বন্ধন ব্যাংক, ঘোষণা করল,  তারা তাদের সিএসআর প্রকল্পের অংশ হিসেবে অসম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন (এসিসিএফ)-কে অনুদান প্রদান করেছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এসিসিএফ অর্থাৎ অসম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন হল আসাম সরকার ও টাটা ট্রাস্টসএর একটি যৌথ উদ্যোগ এর লক্ষ্য হলো ক্যান্সার রোগীদের জন্য সহজলভ্য, মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এই অনুদান আগামী দুই বছরে অসমের ১৭টি জেলায় ক্যান্সার রোগীদের বাড়ির কাছাকাছি চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে সহায়তা করবে।

এই প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাংকের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, এই উদ্যোগটি বন্ধন ব্যাংকের স্বাস্থ্যসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরই একটি অংশ। অনুদানটি ক্যান্সার চিকিৎসার নানা পর্যায়ে রোগীদের সহায়তা করবে, স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য করবে এবং রোগী ও তাঁদের পরিবারের আর্থিক চাপ কমাবে। এই প্রসঙ্গে এটাও বলতেই হয়, অসমে বন্ধন ব্যাংকের প্রায় ৫০০টি শাখা রয়েছে, যা প্রায় ১৫ লক্ষ গ্রাহককে পরিষেবা দিচ্ছে।

এই সিএসআর সহায়তা ঘোষণার জন্য গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রণব কুমার শর্মা, আইএএস, সেক্রেটারি, এমইআরডি, পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত, এমডি ও সিইও, বন্ধন ব্যাংক, . (মেজর জেনারেল) জয় প্রকাশ প্রসাদ, সিওও, এসিসিএফ টাটা ট্রাস্টস, এবং এসিসিএফ আর বন্ধন ব্যাংকের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।

অনুষ্ঠানে বন্ধন ব্যাংকএর এমডি ও সিইও পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত জানান, ‘মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা একটি সুগঠিত সমাজের মূল ভিত্তি। আসামের মানুষের কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, আমরা চাই তারা সাশ্রয়ী ক্যান্সার চিকিৎসার সুবিধাও পাক। তাই এসিসিএফএর মতো সংস্থার সঙ্গে এই কাজের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।

এর পাশাপাশি এসিসিএফএর সিওও ড. (মেজর জেনারেল) জয় প্রকাশ প্রসাদ বলেন, ‘এই সহায়তা অনেক রোগীর জন্য আশার আলো। অনেকেই অর্থের অভাবে চিকিৎসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এই অনুদান তাঁদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে উৎসাহ জোগাবে।

এর পাশাাপাশি এসিসিএফএর সিওও এও জানান, ‘বন্ধন ব্যাংকের এই সিএসআর অনুদান এসিসিএফএর লক্ষ্য পূরণে বড় সহায়ক হবেবিশেষত যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল। এই তহবিল শুধু চিকিৎসার খরচই নয়, রোগী ও তাঁদের পরিবারদের আবাসন ও যাতায়াতের ব্যয়ও বহন করবে, যাতে দূরত্ব বা অর্থের অভাব কোনো রোগীর জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এই সমন্বিত সহায়তা একদিকে যেমন রোগীদের চিকিৎসার মান ও জীবনমান বাড়াবে, অন্যদিকে তেমন এসিসিএফকে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করার সুযোগ করে দেবে এবং আসাম ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী, রোগীকেন্দ্রিক ক্যান্সার কেয়ার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 11 =