কসবা ল কলেজের গভর্নিং বডির রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত পুলিশের

কসবা ল কলেজের গভর্নিং বডির রেজিস্টার বুকও বাজেয়াপ্ত করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার বিকেলে রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনার আগে শেষ কবে গভর্নিং বডির বৈঠক হয়েছিল সেই মিটিংয়ে মনোজিতের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ ছিল কি না বা কারা কারা সেদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য গভর্নিং বডির  সুপারিশেই চাকরি হয় মনোজিতের।

এবার কসবা ধর্ষণকাণ্ডে সামনে এল আরও এক নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার ফোন৷ গার্ড রুমের ভিতরেই ফোন কেড়ে নিয়েছিল মনোজিৎ৷ অভিযুক্তদের জেরাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। নির্যাতিতা যাতে কারও সাথে যোগাযোগ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই ফোন কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল তাকে৷ মনোজিৎ প্রায় নিশ্চিত ছিল ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করলেই মুখ বন্ধ রাখবেন নির্যাতিতা৷ পুলিশের কাছ থেকে এবারও পার পেয়ে যাওয়া নিয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিল মনোজিৎ৷ কসবার ওই কলেজ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে কসবা থানা৷ কলকাতা পুলিশের সূত্রের খবর, মনোজিৎ তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানেও নজর রাখতে বলেছিল৷ দেখতে বলেছিল, যে নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় কি না।

কসবা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানি৷ এদিন সিট তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। পাশাপাশি কেস ডায়েরিও তলব বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =