ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
প্রসঙ্গত, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০১৩ সালে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার চাণক্য এলাকায় এক আশ্রমের প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য তাঁকে একটি ঘরও দেওয়া হয়েছিল। সেখানে নাকি এক রাতে আচমকা মহারাজ হাজির হয়ে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। যা বাধ্য হয়ে তা মেনে নিতে হয় অভিযোগকারিনীকে। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগকারিনী এও জানান, দিনের পর দিন তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। এমনকি, তিনি সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করানো হয়।
এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। শাসক ও বিরোধীর মধ্যে এই ইস্যুতে শুরু হয়েছে তর্জাও। এদিকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন কার্তিক মহারাজ।