সংস্কার হচ্ছে না সল্টলেকের অন্যতম জনপ্রিয় জিডি মার্কেটে। ফলে তার জেরে খসে পড়েছে সিমেন্টের আস্তরণ। দাঁত বের করে বেরিয়ে রডগুলো। বহু দিন পড়েনি রঙের প্রলেপ। এদিকে সব মিলিয়ে এই মার্কেটে ৮৪টি দোকান রয়েছে। মার্কেটের শুধু বাইরের নয়, ভিতরের অবস্থাও তথৈবচ। ব্যবসায়ীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই কংক্রিটের টুকরো ভেঙে পড়ে। অবস্থা সবচেয়ে খারাপ শৌচালয়ের।দীর্ঘদিন ধরে এমন অবহেলায় পড়ে। এদিকে শুধু জিডি নয়, করুণাময়ী থেকে শুরু করে ই–ই, এইচবি, এফই, জিসি ব্লকের অনেক বাসিন্দার নিত্যদিনের জিনিস কেনার ভরসা এই মার্কেট। শুধু জিডি নয়। আশপাশের অনেক ব্লকের বাসিন্দা এই মার্কেটে আসেন। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানই নয়, একাধিক স্যালন থেকে ভাতের হোটেল — সবই আছে এই মার্কেটে।’ কিন্তু মার্কেটের অবস্থা এমনই জরাজীর্ণ যে, দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে এই বাজারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে সত্যি বলতে মার্কেটের অবস্থা যে বেহাল তাও ঠিক বলা যাচ্ছে না।এদিকে সূত্র বলছে, ন’মাস আগে এই মার্কেট সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল।কিন্তু সামনের দিকের কিছু অংশ মেরামত হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ।কারণ, বিধাননগর পুরনিগম নাকি টাকা মেটায়নি।আর সেই কারণেই এই মেরামতের কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যান ঠিকাদার।সেই থেকে আজও একই অবস্থায় জিডি মার্কেট। এ ব্যাপারে বিধাননগর পুরনিগমের আধিকারিকেরা জানান, জিডি মার্কেটের খারাপ অংশের কাজেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। মাঝে একটা সময়ে নিগমের হাতে টাকা ছিল না। টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। আর সেই কারণেই কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। আর মার্কেট সংস্কারের কাজ যে হচ্ছে না এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (বাজার) রাজেশ চিরিমার। তাঁর দাবি, ‘১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা দিয়ে একাংশে সংস্কারের কাজ হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই শৌচালয় সংস্কারের কাজ এবং পরে বাকি অংশের কাজ হবে।’