কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ, রাজ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে ছাত্র সংসদের ভোট–ই হয়নি। এদিকে আদালতের এই নির্দেশের পর এ নিয়ে কপালে ভাঁজ কলেজ কর্তৃপক্ষর।কারণ, সরাসরি না হলেও তথাকথিত ছাত্র সংসদের নামেই শহর ও শহরতলির অনেক কলেজই নানা নামে বিভিন্ন খাতে পড়ুয়াদের থেকে মোটা টাকা আদায় হয়। ইউনিয়নের নামে সরাসরি কোনও টাকা না নেওয়া হলেও সেমেস্টার পিছু স্টুডেন্টস অ্যাক্টিভিটিজ়ের জন্য ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এবার এই ইউনিয়ম রুম বন্ধ হলে, সেশন চার্জ, স্টুডেন্টস অ্যাক্টিভিটিজ়, সোশ্যাল ফান্ড, কমন রুম, কালচারাল ফান্ডের নামে মোটা অঙ্কের টাকা পড়ুয়ারা আদৌ দেবেন কি না বা আদায় করাও যুক্তিসঙ্গত হবে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা জানান, সরাসরি না হলেও এই সব খাতে কলেজগুলির আয় বিপুল। এই টাকা স্পোর্টস, সরস্বতী পুজো, নবীনবরণ, কমন রুমের নানা কাজে খরচ হয়। আবার সেটা সরাসরি পড়ুয়াদের থেকেই নেওয়া হয়। সেটা বন্ধ করাও যাবে না। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কলকাতার অনেক কলেজই পড়ুয়া–পিছু নানা খাতে সেমেস্টার পিছু ৪০০–৬০০ টাকা আদায় করে। ওই সব কলেজে প্রতি সেমেস্টারে ১২০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত পড়ুয়া আছে। বেশ কিছু কলেজে এই ছাত্র সংখ্যা আরও বেশি। ফলে এই টাকা পড়ুয়ারা দিতে না চাইলে সেটা কলেজেরই ক্ষতি।
আরও একটা ব্যাপারে তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন। তা হল, অধ্যক্ষরা প্রাক্তনীদের ক্যাম্পাসে ঢোকা আটকাবেন কোন পথে তা নিয়েই। কারণ বেশিরভাগ কলেজেরই আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য না পেলে, প্রাক্তনীদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়েও সংশয়ে অধ্যক্ষরা। এদিকে নিখিলবঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাইতি জানান, ‘ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকলে, দাদা–দিদিরা কমন রুমে গিয়ে বসবে।’