রথযাত্রা ও ওড়িশা উৎসব ২০২৫-এ ওড়িশার রন্ধন ঐতিহ্য উদযাপনে অনুষ্ঠিত হল খিরি পিঠা প্রতিযোগিতা

রথ যাত্রা ও ওড়িশা উৎসব ২০২৫এর মহোৎসবের অংশ হিসেবে, শ্রী জগন্নাথ সেবা সমিতি, খিদিরপুরের সাংস্কৃতিক শাখা উৎকলা, ৪ জুলাই ২০২৫ (শুক্রবার) ভবানীপুরের নর্দান পার্কে এক খিরি পিঠা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।এই প্রতিযোগিতায় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫ জনেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগীরা সুস্বাদু খাবার তৈরির মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রতিভা  তুলে ধরেন এদিনের উপস্থিত দর্শনার্থীদের সামনে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, খিরি পিঠা  গুড় ও নারকেল ও চাল দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিষ্টান্ন। আর এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো ওড়িশার সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্য উদযাপন এবং এর অন্যতম প্রিয় মিষ্টান্ন খিরি পিঠার স্বাদকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। রান্না যাঁদের কাছে এক শখের ব্যাপার তাঁদের  সকলকে ও  ঘরগৃহস্থালিতে রান্নার প্রতি আগ্রহী ও খাদ্যপ্রেমীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে।তাঁদের দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি ওড়িশার পুরনো ঐতিহ্যবাহী রেসিপিগুলো পুনরুজ্জীবিত করা ছিল এই প্রতিযোগিতা বা অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত খিদিরপুরের শ্রী জগন্নাথ সেবা সমিতির সভাপতি চন্দ্রশেখর পাণিগ্রাহী, বলেন, ‘খিরি পিঠা প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি রান্নার প্রতিযোগিতা নয়এটি আমাদের ওড়িয়া সংস্কৃতিকে সংজ্ঞায়িত করা স্বাদ ও ঐতিহ্যের প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম এই রন্ধনপ্রথাগুলো নিয়ে গর্ববোধ করুক এবং এগুলোকে আগামীতেও জীবিত রাখুক।

প্রতিযোগীদের বিচারক প্যানেল তালিকায় ছিলেন পলাশ সরকার, প্রদীপ রোজারিও এবং রাজদীপ ভট্টাচার্য। এঁরা এদিন স্বতন্ত্রতা, স্বাদ, গঠন এবং পরিবেশনার দিক থেকে এই পিঠা প্রস্তুতের মূল্যায়ন করেন। বিজয়ীদের পুরস্কার এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়।

এই অনুষ্ঠানটি সাত দিনের ওড়িশা উৎসবের (২৮ জুন৪ জুলাই ২০২৫) অংশ, যা বার্ষিক শ্রী জগন্নাথ রথ যাত্রার সাথে মিলে যায় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য প্রতিযোগিতা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশনার আয়োজন করে।

খিরি পিঠা প্রতিযোগিতার সমন্বয় করেন আলকা মহান্তি,  রাজলক্ষ্মী স্বাইন ও গজেন্দ্র স্বাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =