আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান রক্তপরীক্ষা সহ নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে। তবে বড় সমস্যা হল এই সব টেস্ট করাতে আম জনতার মধ্যে রয়েছে এক তীব্র অনীহা। আর এই অনীহা আজকের নয়, বহুকালের।আর সব থেকে বড় সমস্যা হল, এই পরীক্ষা বা টেস্টের ফল যদি স্বাভাবিক আসে তাহলে আর রক্ষে নেই। একেবারে সোজা আঙুল ওঠে ডাক্তারের দিকেই। কারণ, তখন মনে হয়, ডাক্তাররা ইচ্ছে করে টেস্ট করিয়েছেন। ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ তা নয়। আর এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষায় এগিয়ে এল The Association of Laboratory Medicine (ALM) নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠনটির লক্ষ্য, চিকিৎসকরা রোগীদের যাতে আরও নিখুঁত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন। এই সংগঠনটির এই লক্ষ্য নিয়ে পথ চলা শুরু হল কলকাতার প্রেস ক্লাবে ২ রা জুলাই ২০২৫ থেকে। এই সংগঠনে রয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ট্র্যান্সফিউশন মেডিসিন এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিনের সব প্রথিতযশা চিকিৎসকরা। আর এঁরাই এই সংগঠনের মূল কাণ্ডারী। ‘বেটার হেলথ থ্রু ল্যাবরেটরি মেডিসিন’ এই উদ্দেশ্যে পাঁচটি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা লব্ধ ফলাফলের আদান প্রদান সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির ব্যবহার, এবং পরীক্ষার গুণগত মাণ বাড়াতে নিয়ম কানুন মেনে চলার ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন। সংগঠনের সভাপতি ডাঃ তমালকান্তি ঘোষ জানান, যে চিকিৎসকরা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলে আখেরে জটিল ও মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসায় ভাল ফল আশা করা যায়।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ অশ্বিনী সেনগুপ্ত জানান, কন্টিনিউইং মেডিক্যাল এডুকেশনের ফলে চিকিৎসকরা অনেক সমৃদ্ধ হবেন। প্রসঙ্গত ভারতবর্ষে ল্যাবরেটরি মেডিসিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলেও এঁদের নিজস্ব কোনও সংগঠন নেই। পাঁচটি বিশেষ শাখার চিকিৎসকদের একই ছাতার তলায় আনার ভাবনা রয়েছে দ্য অ্যাসোশিয়েশন ফর ডায়াগোনস্টিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি মেডিসিনের (ADML)। ALM এর পৃষ্ঠপোষক মণ্ডলীর মধ্যে আছেন ডাঃ প্রদীপ মিত্র, ডা) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ এস এম নাদিম, ডাঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত , ডাঃ শুশ্রুত সেন এবং ডাঃ শুভ্রাংশু মণ্ডল।