৪২ লক্ষ ভোটের ব্যবধান সামাল দেওয়া এখন বড়  প্রশ্ন বিজেপির

২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। হাতে সময় বলতে কয়েকটা মাস। তার আগে রাজ্য বিজেপির নতুন দায়িত্ব নিলেন শমীক ভট্টাচার্য। বছর  রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শমীক ভট্টাচার্য জানান, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। কিন্তু, ভোটের অঙ্ক বলছে তৃণমূলকে হারানো বিজেপির পক্ষে মুখের কথা নয়। কারণ,  চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের তথ্য বলছে, এ রাজ্যে তৃণমূলের থেকে ৪২ লক্ষ ভোট কম পেয়েছে বিজেপি। অঙ্কের নিরিখে চব্বিশের লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষের সামান্য বেশি ভোট। আর বিজেপির ঝুলিতে ২ কোটি ৩৩ লক্ষের সামান্য বেশি ভোট। আর এখানেই প্রশ্ন, এই ফারাক মিটবে কী করে তা নিয়েই। আর এবার এই বিস্তর ব্যবধানকে কীভাবে নিজেদের কব্জায় আনা যায় তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে স্যাফ্রন ব্রিগেড। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর শুক্রবার সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে দলের মোর্চা ও সেলগুলির সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন শমীক। এ ব্যাপারে পরামর্শ , হিসাবনিকাশ চাওয়া হল দলের বিভিন্ন মোর্চা এবং সেলগুলির দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকেও।  বুথগুলির কী অবস্থা, তাও জানতে চাওয়া হয়। তবে বিজেপির মোর্চা ও সেলগুলির সক্রিয়তা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল ও মঙ্গল পাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষণ অমিত মালব্যও।

এদিকে সূত্রে খবর, নির্বাচনের জন্য যে এখন থেকে ময়দানে ঝাঁপাতে হবে, মোর্চা ও সেলগুলিকে সেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বৈঠকেই মোর্চা ও সেলগুলিকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। কারণ, কয়েকমাস পর বিধানসভা নির্বাচন। তৃণণূলকে পিছনে ফেলতে সেখানে সক্রিয় হতেই হবে মোর্চা আর সেলগুলিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 3 =