কসবা–কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবারকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা–মা। আগামী ৯ অগাস্ট আরজি করের ঘটনার এক বছর হবে। ওইদিনই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে তাঁরা। কসবার নির্যাতিতার বাবা–মাও যাতে পথে নামেন, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচিকে সমর্থনও করেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেছেন, ‘আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তিলোত্তমার মা–বাবা এটাকে ডিক্লেয়ার করেছেন। তবে তাঁরা যে আয়োজকের ভূমিকায় থাকছেন।’ এরপরই শুভেন্দু এও জানান, ‘আমরা অংশ নেব। আমি আয়োজনও করব যাতে হাজার হাজার লোক আসে। তিলোত্তমার মা–বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আমি ধর্মতলা থেকে হাঁটা শুরু করব।’ এরপরই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “ওনাদের কত জল কামান, টিয়ার গ্যাস আছে দেখব আমি! রাখি বন্ধন সকালে হয়ে যাবে। নবান্ন অভিযান বেলা ১২টার পরে হবে।’
‘নবান্ন অভিযান’-এর পাশাপাশি ফের একবার ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’-এর ডাক দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা–মা চান, কসবার ঘটনা নিয়েও বড় আন্দোলন হোক। ওই নির্যাতিতা তরুণীর বাবা–মাও পথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। কসবা–কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘কলেজে কলেজে থ্রেট কালচার ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। মনোজিৎ মিশ্র বা সন্দীপ ঘোষের মতো লোকেদের মাথায় রাজনৈতিক হাত আছে বলেই এরা এত বেপরোয়া। তারা দুর্নীতি করতে কোনও ভয় পায় না। তারা কলেজে কলেজে দাপিয়ে বেড়ায়। এখন ভালোভাবেই দেখতে পাচ্ছি।’ একইসঙ্গে আরজি করের নির্যাতিতার মা এও জানান, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা আর কারও সঙ্গে ঘটেনি। আমার মেয়ে অন ডিউটি ছিল। ওর অধীনে ৭০–৮০ রোগী ভর্তি ছিল। সেখানে তাকে মেরে ফেলল। ও নাকি সারারাত নাকি ঘুমিয়ে ছিল? এটা কেউ মেনে নিতে পারে। আর কসবায় মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়েছিল, বেরোতে দেওয়া হয়নি। জোর করা হয়েছে। আমার মেয়েকে আটকে রাখতে হয়নি, ডিউটিতে খুন করা হয়েছে।’