কসবার দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ, এমনটাই খবর লালবাজার সূত্রে। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এই ১৮ জনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।একইসঙ্গে ওই কলেজের দ্বিতীয় নিরাপত্তা রক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷
দ্বিতীয় এই নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন তথ্য় মিলেছে বলেও জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। তাঁকে লালবাজারে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসার পর পুলিশ জানতে পার এই দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষীও একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী । তবে তাঁর ফোন থেকে একাধিক নয়া তথ্য।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, অর্থাত গত ২৫ জুন রাত ৮টা বেজে ৪০ মিনিটে এই নিরাপত্তারক্ষী কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ।আর সেই কারণেই তাঁর কাছ থেকে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ তাঁরা জানতে চান যে, এই দ্বিতীয় নিরাপত্তারক্ষী সেদিন মনোজিৎ–সহ অন্য অভিযুক্তদের কখন কলেজে আসতে দেখেছিলেন কি না বা ওই অভিযুক্তরা কলেজে প্রতিদিন আসতো কি না সে ব্যাপারেও। সঙ্গে এও জানতে চান, তাঁরা কলেজে কী কী করতেন বা এমন কোনও ঘটনা এর আগেও ঘটেছিল কি না।
এছাড়াও এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের তদন্তকারীরা যে বিষয়টি সবথেকে ভালো ভাবে খতিয়ে দেখতে চান তা হল, এই ঘটনায় গ্রেপ্তারির আগে পর্যন্ত অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থান এবং তাঁদের গ্যাজেটের অর্থাৎ ইলেকট্রনিকস অবস্থান কোথায় ছিল । ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর মোবাইল–সহ মোট তিনটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার সেলের তদন্তকারীরা এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের মোবাইল ঘেঁটে ঘটনার দিনের যাবতীয় টাওয়ার লোকেশন পেয়েছেন । তদন্তে নেমে লালবাজারের সাইবার সেলের তদন্তকারীরা ইলেকট্রনিকস এভিডেন্স সংগ্রহের কাজেও নেমেছেন। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘এই ঘটনার তদন্তে নেমে আমাদের যা যা করণীয় আমরা সব কিছুই করছি ৷’