বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক ৬ বাঙালিআর তাঁদের নিজগৃহে ফেরাতে মামলা হল হাইকোর্টে। বীরভূমের এই দুই পরিবারের আইনজীবীর বক্তব্য,কর্মসূত্রে দিল্লি গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। এখন তাঁরা কোথায় রয়েছেন জানা যায়নি। কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁদের। আর এখানেই হাইকোর্টে ওই দুই পরিবারের সদস্যদের আর্জি, আটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক আদালত।
এদিকে বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালিদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এই নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, পুশব্যাক রাজনীতি নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলায় কথা বললেই পুশব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। দেশের সমস্ত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যেই চলছে এই কাজ। এমনকি, পরিচয়পত্র দেখালেও বাঙালিদের বাংলাদেশি বলছে ওরা।’ শুধু বিধানসভাই নয়, সাংবাদিকদের সামনেও ছবি দেখিয়ে সরব হন মমতা।এদিকে ওড়িশাতেও ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখায় কেন্দ্রে বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। কারণ, বাংলাদেশি সন্দেহে বীরভূমের পাইকরের ছ’জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর।
এদিকে বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওড়িশা নিয়ে একই ধরনের মামলা দায়ের হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েও এক সঙ্গে শুনানি করা হবে। আগামী শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা।