এসএসসি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

এসএসসি মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকাররে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না চিহ্নিত অযোগ্যরা।সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

চিহ্নিত অযোগ্যরানিয়োগে সুযোগ না পেলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে, আদালতে এ কথাই বলেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। অযোগ্যদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এসএসসি বা রাজ্য সরকারের কোনও যুক্তিতেই চিঁড়ে ভেজেনি তা স্পষ্ট হল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায়চিহ্নিত অযোগ্যরাসুযোগ পাবেন না।

এসএসসি পরীক্ষার নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত অযোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে মামলা হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একযোগে মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় চিহ্নিত অযোগ্যদের আবেদন করা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কতবার তাঁরা ফল ভুগবে, সাজা পাবে?’ উত্তরে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয় যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যাঁরা টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিত, তাঁরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র নয়া নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। যদি কোনও দাগি অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই যদি আবেদন করে থাকেন, সেই আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। হাইকোর্ট স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য় সরকার ও এসএসসি।  বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের বেঞ্চেও এই একই প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি ও সরকার। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, এসএসসি কেন দাগিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে তা নিয়ে। এর জবাবে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন নিয়োগে কারা যোগ দিতে পারবেন আর কারা পারবেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত শুনানিতে বলেন, দাগি অযোগ্যদের নতুন নিয়োগে অংশ নিতে না দিলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। এছাড়াও, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি। সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে সকলের সমান অধিকার। ফলে ওই দাগি অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে না দিলে মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করার সমান হবে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =