দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে গণধর্ষণের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ৷ বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে এই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল ডিসি এসএসডি (সাউথ সাবার্বান) ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বাধীন সিট । কসবা ল কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে।নির্যাতিতার আইনজীবী সূত্রে খবর, যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে সন্তুষ্ট তাঁরা। একইসঙ্গে গোপন জবানবন্দি ও মেডিক্যাল রিপোর্ট এদিন জমা দেওয়া হয় আদালতে। তা খতিয়ে দেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে কসবার ল কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।এদিকে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান, ’রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক। সেখান থেকে জানা যাবে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে’। এই ঘটনায় তদন্ত আর কতটা এগিয়েছে, এই নিয়ে ১ মাস পর ফের রিপোর্ট দেবে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষও।
এদিন হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল কসবা থানারও। সেই মতো আদালতে হলফনামাও জমা পড়ে কসবা থানার তরফ থেকে। এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টও জমা করতে বলা হয়েছিল। কারণ, কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং এ ব্যাপারে আগে অভিযোগ জানানো হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি কেন এই সবের উল্লেখ তাকার কথা এই রিপোর্টে। পাশাপাশি এই রিপোর্টে এও জানাতে বলা হয়েছিল, সিসিটিভি বা অন্য নজরদারির ব্যবস্থা কেন করা হয়নি তা নিয়েও। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী জানান, ’আদালতে সিল করা খামে তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট ও ১৬৪ ধারায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি পেশ করা হয়েছে’।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবার পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সিট–এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে আদালত অনুমতি দিলে আমরা তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দেখতে চাই।’এই প্রসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, -’তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য শুধুমাত্র নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতে পারবে রাজ্য সরকার। তবে ওই রিপোর্ট সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তদন্তের তথ্য আদালতের হেফাজতে রাখা হবে এবং রাজ্যকে চার সপ্তাহ পর তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে’। কলেজ ও রাজ্য সরকার–সহ অন্যান্য পক্ষকে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ জুলাই।