পুলিশ আধিকারিককে চড় মারার ঘটনায় এসএফআই নেত্রীকে থানায় তলব

বুধবার ধর্মঘটের দিন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে প্রকাশ্যে চড় মেরেছিলেন এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভানেত্রী বর্ণনা মুখোপাধ্যায়। এবার এই ঘটনায় এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা সভানেত্রীকে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের জোড়াসাঁকো থানায় হাজিরা দেওয়ার। আর এই হাজির দিতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ণনার বিরুদ্ধে সরকারি কর্তব্যে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন বামফ্রন্ট রাজ্যজুড়ে বনধ কর্মসূচি পালন করছিল। সেই সময় ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির মধ্যে জোড়াসাঁকো থানার এক পুলিশ আধিকারিককে প্রকাশ্যে চড় মারতে দেখা যায় এই বাম নেত্রীকে। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে এই ভিডিও সামনে এনে তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, ‘সরকারি কর্মচারির গায়ে হাত তোলা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শুধু অরূপ-ই নন, তৃণমূলের আরও একাধিক নেতা এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সঙ্গে তুলে ধরেন বাম আমলে প্রশাসনের উপরে দখলের প্রসঙ্গও। তারই রেশ টেনে তৃণণূলের তরফ থেকে বামেদের বিদ্ধ করে বলা হয়, ‘আজ বামেদের সংগঠন কার্যত নেই বললেই চলে, তখন এমন ঔদ্ধত্য প্রশ্ন তোলে। অতীতে প্রশাসনের উপর দখল কেমন ছিল, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন।

তবে এর পাল্টা দিয়েছে এসএফআই এবং বাম নেতৃত্ব। শাসক দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করতে দেখা যায় তাঁদের। বাম নেতা শতরূপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূল নেতারা কেলেঙ্কারিতে জড়িত, তখন ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা জনমতকে দমন করার অপচেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − twelve =