ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে গিয়ে নিম্নচাপ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিক। তারপর এটি খুব ধীরে ধীরে ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে উত্তর ছত্তিসগঢ়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে এতে বৃষ্টির হাত থেকে এখনই রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গ। কারণ, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা–সহ চারটি অক্ষরেখা রয়েছে এবং তিনটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দেশজুড়ে।ফলে নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরলেও ‘স্ট্রং মনসুন ফ্লো’ রয়েছে। তাই বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গেও।
এর মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যে মৌসুমী অক্ষরেখা রয়েছে তা বেশ শক্তিশালী। আর তাই জেরে বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও মেঘলা আকাশ কলকাতায়। তবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৮৯ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে এখনই রেহাই মিলছে না। এদিন সকালে শহর কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি হয়েছে ১৭.২ মিলিমিটার। পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হলেও তার পরিমাণ ও ব্যাপকতা কমবে। রবিবার আবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে।
সোমবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে হবে মূলত পুরুলিয়া উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
একই অবস্থা উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও। এদিন উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও তার পরিমাণ ও ব্যাপকতা কম থাকবে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকছে। শনিবারও এই একই ছবি থাকবে। রবিবার ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। সোম ও মঙ্গলবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও আলিপুরদুয়ারে।