পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রান্ত রবীন্দ্র সরোবরে

সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়  নামটা প্রতিবাদী হিসাবেই পরিচিত বঙ্গ সমাজে।দীর্ঘদিন ধরেই রবীন্দ্র সরোবরকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও যাচ্ছেন তিনি। রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে যে কোনও ধরনের অনৈতিক ঘটনা যা পরিবেশের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে তার প্রতিবাদ তিনি করেছেন।এবার এই মহিলা পরিবেশকর্মীকেই আক্রান্ত হতে দেখা গেল।

সূত্রে খবর, গত ১০ জুলাই বিকেলে সুমিতা রবীন্দ্র সরোবর গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তিন যুবক মাঝ রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন। তার মধ্যে একজন আবার রেলিংয়ের গায়ের কাছে শুয়ে রয়েছেন। তিনি প্রতিবাদ করে তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। আবেদন করেন যাতে তাঁরা বেঞ্চে গিয়ে বসেন। তখনই ওই যুবকরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। সেই সময় এক ব্যক্তি ওই যুবকদের সমর্থনে এসে মহিলা পরিবেশ কর্মীকে নানান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকে। এমনকী, ওই যুবকদের উস্কানি দেয়, তারা যা খুশি করুক ওই মহিলা পরিবেশকর্মী কিছুই করতে পারবে না।এরপরই ওই সুমিতাদেবী ওই ব্যক্তির কথায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি, সঙ্গে চলে গালিগালাজ। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই মহিলা পরিবেশ কর্মীকে মাটি থেকে তুলে ধরেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। তখনও গালিগালাজ অব্যাহত ছিল বলেই অভিযোগ মহিলা পরিবেশকর্মী। এরপরই সুমিতাদেবী রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ডিসি সাউথের অফিসে অভিযোগও করেন।

এই প্রসঙ্গে সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমি চব্বিশ বছর ধরে কাজ করছি। সকাল ৯টার সময় তিনটি ছেলেকে দেখি মাটিতে বসে আছে। ওরা উঠল না উল্টে আমায় বলছে বিকেলে এসে দেখবেন। তারপর হঠাৎ করে কোথা থেকে একটা লোক এল। আমায় অশ্লীল গালিগালাজ করল। তারপর বলল যা খুশি তাই করবি। বলল এই মেয়েছেলেটার কোনও কথাই শুনবি না। ও যা খুশি বলে বলুক। আমি প্রতিবাদ করি। তারপর আমায় যা গালিগালাজ করল ভাবতে পারবেন না। আমায় বুকে ধাক্কা মারে। পুলিশে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনাটা রবীন্দ্র সরোবর থানায় জানিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + five =