আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। শুরু হতে চলেছে বিচার প্রক্রিয়া। আরজি কর দুর্নীতিতে প্রতারণা, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্রের ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়।তারই ভিত্তিতে হল চার্জগঠন।ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আরও বিপাকে পড়লেন সন্দীপ ঘোষ।২২ জুলাই হবে সাক্ষ্য গ্রহণ।
সন্দীপ ঘোষ সহ পাঁচ অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ ও সন্দীপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী আফসার আলিকে সোমবার আদালতে নিয়ে আসা হয় সংশোধনাগার থেকে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ধারাতে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ অভিযুক্ত আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি থেকে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শুনানির শেষে বিচারক তাঁদের এই আবেদন খারিজ করে দেন।
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন সন্দীপ। চলতি বছরের শুরুতে তার থেকেই অব্যাহতি চেয়েছিলেন। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং ও আশরাফ আলি।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই শুরু করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেই চার্জশিটে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও নাম রয়েছে আফসর আলি, বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং আশিস পাণ্ডের। পাঁচজনই এখন জেলবন্দি। অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডারে ব্যাপক দুর্নীতি চলেছে। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের অভিযোগের ভিত্তিতে উঠে আসে, কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠদের বেআইনি সুবিধা দিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই তদন্তে ধাপে ধাপে এই পাঁচজনের নাম সামনে আসে। প্রথমে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিপ্লব, আফসর, সুমন এবং সবশেষে আশিস পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করা হয়।