একা কুম্ভ হয়ে জাদেজার চেষ্টাতে বাঁচানো গেল না হার

এমন একটা ফল হতে যাচ্ছে লর্ডসে তা মোটামুটি আঁচ করাই গিয়েছিল টেস্টের চতুর্থ দিনেই। তবে শেষ দিনে এই ম্যাচকে থ্রিলারের পর্যায়ে নিয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা। অথচ, টেস্ট সিরিজ় শুরুর আগে রবীন্দ্র জাডেজাকে দলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। সোমবার সেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই লড়ে গেলেন। তবু শেষরক্ষা হয়নি। তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। ২২ রানে ম্যাচ হারল টিম ইন্ডিয়া। লর্ডসে জিতে সিরিজ়ে ২১ ফলে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

১৮১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত রইলেন রবীন্দ্র জাডেজা। তবে ম্যাচ শেষে তাঁর চোখমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। কঠিন পরিস্থিতিতে উইকেটে টিকে থেকে, লড়াই করেও দলকে জেতাতে না পারার কষ্টটা চোখে মুখে স্পষ্ট।

চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের সামনে টার্গেট ছিল ১৯৩। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাশুল গুনতে হলো ভারতকে। ১৭০ রানে অল আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে ৫৮ স্কোর নিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থের জুটির উপরে। কিন্তু  ১২ বলে ৯ রান করে আর্চারের বলে ক্লিন বোল্ড হন ঋষভ পন্থ

কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন রাহুল। ৫৮ বলে ৩৯ রান করে বেন স্টোকসের বলে লেগ বিফোর উইকেট হন। পরের ওভারেই শূন্য রানে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন জোফ্রে আর্চার। তখন ভারতের স্কোর ৮২৭। এরপর একটা প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন নীতীশ। তবে ৫৩ বল খেলে ১৩ রান করে আউট হন নীতীশ। তখনও মরিয়া লড়াই চালাচ্ছিলেন জাডেজা টেল এন্ডারদের সঙ্গী করেই।অধিকাংশ বল খেলছিলেন নিজেই। ১৫০ বল খেলে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। বুমরাও চেষ্টা করছিলেন টিকে থাকার। তবে অকারণে শট খেলতে গিয়ে আউট হন (৫৪ বলে ৫) শেষে সিরাজকে (৩০ বলে ৪) বোল্ড করেন শোয়েব বাসির। ১৮১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন জাডেজা। তিনটি করে উইকেট তুলে নিলেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস ও অভিজ্ঞ পেসার জোফ্রা আর্চার। নকল বুঁদি গড় সত্যিই রক্ষা করার চেষ্টা করে গেলেন একা কুম্ভ জাদেজা-ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 17 =