এদিকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতার নানা রাস্তা। নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আগের তুলনায় শহরের নিকাশি ব্যবস্থা অনেক উন্নত। তিনি বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হলেও জল দাঁড়াচ্ছে না, অতিবৃষ্টিতেও দ্রুত জল সরছে।‘উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন পাতিপুকুরের আন্ডারপাসের কথা। বলেন, ‘বর্ষাকালে এক কোমর জল জমে যেত, এবারে সেই চেনা ছবি দেখা যায়নি। সারা কলকাতায় ডিসিলটিং করা হয়েছে। তাই ২০ মিলিমিটার প্রতি ঘন্টায় বৃষ্টি হলেও জল সরে যাচ্ছে।‘ তবে কিছু এলাকায় জল জমার কারণ হিসেবে তিনি অতিবৃষ্টিকে দায়ী করে বলেন,’ ২০০–৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও ৫–৬ ঘণ্টার মধ্যেই শহর জলমুক্ত হচ্ছে।‘
এদিকে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত নিকাশি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দিল কলকাতা পুরসভা। বৃষ্টির কারণে কোথাও যাতে জল জমে না–থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শারদোৎসব শুরু হচ্ছে শহরে। তার পর লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, দীপাবলী এবং ছটপুজোও রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে জানান, ভারী বৃষ্টির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার নিকাশি বিভাগ জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। যাতে কোথাও জল জমে না থাকে এবং ভারী বৃষ্টি হলেও যাতে মানুষের সমস্যা না–হয়, সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে খিদিরপুরে মেট্রোর টানেল বোরিং নিয়ে। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানান, ‘এটা আমাদের বিষয় নয়, মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দেখতে হবে। ওদের ইঞ্জিনিয়ারদের আরও সতর্ক হতে হবে, কারণ ওই এলাকায় বহু পুরনো ও হেরিটেজ বাড়ি রয়েছে।‘ বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নিয়ে তিনি বলেন, ‘মেট্রো রিবিল্ডিং–এর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি।‘