ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাময়িক স্বস্তিতে বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। বুধবার নিম্ন আদালতে তাঁদের হাজিরা পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, ১ অগাস্ট পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।
বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় সিবিআই চার্জশিটে নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষের। এরপরই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আগাম জামিনের জন্য। সেই মামলাতেই আপাত স্বস্তি মিলেছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালদের।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক হিংসা।সেই সময় বেলেঘাটায় খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথমে একটি চার্জশিট জমা দিলেও একইসঙ্গে সামনে আসে আরও কিছু তথ্য।এইসব তথ্যের ভিত্তিতেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়ার পর অভিজিৎ খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮-তে।
এদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছে। এদিকে যাঁদের নাম এই চার্জশিটে রয়েছে সেই বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছা থাকলেও সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এই মামলারই গত শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ভর্ৎসিত হয়ে সিবিআই। খুনের ঘটনার ৪ বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এরপরই আদালতের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, অভিজিৎ খুনের ঘটনায় এই ৪ বছরে কাউকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে কি না। কাউকে গ্রেফতার করতে হবে এমন প্রয়োজন বোধ করেছিলেন কি না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। জবাবে সিবিআই–এর তরফে জানানো হয়, আগে যে আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন তিনি মনে করেননি কাউকে গ্রেপ্তার করতে হবে, কারণ এই ঘটনায় যাঁদের নাম সামনে এসেছে তাঁদের তরফ থেকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছিল।