দক্ষিণ ২৪ পরগনা বা বেহাল যেতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে রিমাউন্ট রোড, হবোকেন রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড, হাইড রোড, তারাতলা রোড ধরতেই হয় অনেককে। এর ফলে ওই সব রাস্তায় দিনভর থাকে গাড়ির চাপ।আর এই গাড়ি অনবরত যাতায়াত করার জেরে রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত।এরপর বৃষ্টিতে তা আরও বেহাল আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা ওই সব বেহাল রাস্তা গাড়ি চলাচলের পক্ষে দুর্গম হয়ে পড়েছে। তবে সব থেকে খারাপ অবস্থা হাইড রোডের। অথচ রাস্তাগুলির সংস্কার নিয়ে এত দিন প্রশাসন কোনও হেলদোল দেখায়নি বলে অভিযোগ করছেন নিত্যযাত্রীরা।ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে রিমাউন্ট রোড, হবোকেন রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড হয়ে তারাতলা রোডের দূরত্ব মেরেকেটে দু’কিলোমিটার। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই দূরত্ব পেরোতেই লাগছে এক ঘণ্টা।
শুধু তাই নয়, বেহাল রাস্তার জন্য গত এক মাসে পরপর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর গর্তে পড়ে মোটরবাইক উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে অবিরত। কখনও আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।খানাখন্দে ভর্তি বন্দর এলাকায় সোনাই রোড, হাইড রোড গ্রামের রাস্তাকেও হার মানাবে। আর এই বেহাল রাস্তার জেরে দুর্ঘটনা, যানজট রোজকার সমস্যা।
দুর্দশার একই ছবি সিজিআর রোড, কোল ডক রোডে। বন্দর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকায় রাস্তা সারাইয়ে উন্নত বিটুমিন (পিচ) ব্যবহার করা হয় না। শুধু দায়সারা গোছের ইট, বালি ঢেলে তাপ্পি মারা হয়।
বৈঠকে মুলত আলোচনা হয় বন্দর এলাকার বেহাল রাস্তা নিয়ে। রাস্তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও, তা শোনা হয়না বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য। অবশেষে রাজ্যের প্রস্তাব মেনে বন্দরের বেহাল সমস্ত রাস্তা সারাতে রাজি হলেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও এর আগে রাস্তা সারাতে বন্দর রাজি হলেও তারা পাল্টা শর্ত চাপিয়েছিল কলকাতা পুরসভার ঘাড়ে। বন্দরের বক্তব্য ছিল রবীন্দ্রসেতু বা হাওড়া ব্রিজ মেরামতি করে তারা। সেই সেতু ব্যবহার করে শহরের বহু মানুষ। তাই বকেয়া কর মেটাক পুরসভা। বন্দরের এই প্রস্তাব অবশ্য মেনে নিয়েছিল পুরসভা। যদিও পুরসভার আর্জি, নিকাশির কাজে ও গুদাম ঘর বাবদ বন্দরের কাছে তাদের বহু টাকা কর বাকি রয়েছে। সেই টাকাও মেটানো হোক। বন্দর অবশ্য উপযুক্ত নথি সহ এই বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিল।