২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে কলকাতায় বিতর্কিত লাভলি

বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ একটা বিতর্কিত নাম লাভলি খাতুন। কয়েকমাস আগেই তাঁকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। একজন বাংলাদেশি হয়ে তিনি কী করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। কারণ, লাভলি বাংলাদেশের নাগরিক এটা প্রমাণ হতেই শাসকদলকে বিঁধেছিল বিরোধীরা। এমনকী এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের পদ থেকে তাঁকে সরতে হয়। মালদহের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সেই প্রধান লাভলি খাতুন এবার একুশের জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন কলকাতায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূলকে বিদ্ধ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন লাভলি খাতুন। নির্বাচনে লড়তে নানা ভুয়ো শংসাপত্র তিনি তৈরি করেন বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেখানে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, লাভলি খাতুনের প্রকৃত নাম নাসিয়া শেখ। তিনি বাংলাদেশি। ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। এখানে নিজের নাম ও পিতার নাম বদলে ফেলেন। ভুয়ো নথি বানিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এরপর স্থানীয় বিডিওর তদন্তে লাভলির নথিতে ধরা পড়ে গরমিল। ভুয়ো নথি দেওয়ায় বাতিল হয় লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট। মহকুমা শাসকের সিদ্ধান্তে তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যপদও বাতিল হয়।

লাভলিকে নিয়ে বিতর্ক বাড়ার পরই লাভলি খাতুনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন লাভলি। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক তা জানতই না তৃণমূল। যদি সম্ভব হয় তাহলে আইনি ভাবে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হয় তবে তাই করা হোক।সেই লাভলি খাতুনের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে আসা নিয়ে জোর চর্চা বিরোধী শিবিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =