একুশে জুলাইয়ের শহিদ তর্পণের মাঝেই দলের কর্মী, সমর্থকদের রাজনৈতিক বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সমাবেশ থেকেই ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের ভবিষ্যতের পথ চলার দিশা খুঁজে পান তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের কাছে এটা শুধু শহিদ তর্পণের আয়োজন নয়, আবেগ ও শ্রদ্ধার মোড়কে শপথ নেওয়ার দিন। তবে কর্মী সমর্থকদের কাছে শহিদ দিবসে আসার থেকেও দামী মমতা ৷ আর সেই কথারই দ্যোতনা ইকবাল ও মণিরুলের গলায়। জানালেন, ‘দিদিকে ভালোবাসি, তাই আসি৷’
ট্রেন, বাস কিংবা টেম্পো বা প্রাইভেট গাড়িতে নয় সাইকেল চালিয়ে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে হাজির দুই ভাই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের ময়রা অঞ্চলের বটতলা গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল সাপুই এবং মণিরুল সাপুই । দুই ভাই-ই দর্জির কাজ করেন। তাঁদের পরিবার, তৃণমূল সমর্থক । এ কারণেই তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে তাঁরা হাজির হয়েছেন। তবে কেন এই শহিদ দিবস সে প্রশ্নের উত্তর যথাযথ উত্তর তাঁরা অবশ্য দিতে পারেননি। তবে এক ভাই খুব স্পষ্ট ভাবেই জানালেন, ‘বিশেষ কিছু জানি না। কী কারণে, কীভাবে এই ১৩ জন মারা গিয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছুই জানি না। তৃণমূলের সমর্থক হয়ে দলকে ভালোবাসি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি ৷ এই কারণে এসেছি।’
সাইকেলে আসার বিষয়ে ইকবাল সাপুইয়ের খোলামেলা বক্তব্য, ‘ট্রেনে বাসে তো সকলেই আসে। আমরা না–হয় সাইকেলে এলাম। এতে ক্ষতির কিছু নেই। আমরা বরং একদিন আগেই এসেছি। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছি। সাইকেলে করে বাবুঘাট, প্রিন্সেপ ঘাট–সহ কলকাতার একাধিক দর্শনীয় স্থানেও ঘুরেছি । এতে দলীয় সভায় যেমন হাজির থাকা গেল ঠিক তেমনি কলকাতায় ঘোরাও হল।’
সঙ্গে এও জানান, রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ ইকবাল ও মণিরুল জয়নগর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর বেলা ৩টেয় নাগাদ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁরা পৌঁছন। সেখানে বিশ্রামের পর বিকাল ও রাতে কলকাতা ঘুরেছেন। এরপর সোমবার সকালে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শনের পর ধর্মতলায় হাজির দুই ভাই ৷