এবার দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা ৷ সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার রাজ্য ও হিডকোর কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে–র ডিভিশন বেঞ্চ । আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ‘দিঘায় জগন্নাথ ধামের নামে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। যেখানে হিডকো টাকা দিয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের কোনও ধর্ম নেই। এটা একটা স্ক্যাম । এটা আইনের পরিপন্থী। জনগণের টাকা এভাবে ব্যবহার করা যায় না।’ এদিকে অডিট রিপোর্টেও এই একই তথ্য উঠে এসেছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দির করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। অন্যদিকে আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার হিডকোর পক্ষে বলেন, ‘এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই।’
দু‘পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সুজয় পাল বলেন, ‘মামলার শুনানির সময় গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি আদালত খতিয়ে দেখবে। হিডকো ও রাজ্যর হলফনামা দেখার পরই আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’ এদিকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে কেউ অনুদান দিলে তাঁকে আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানেই আবেদনকারী আইনজীবী জানান, ‘ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কখনও মন্দির তৈরি করতে পারে না। তাহলে সেখানে অনুদান দিলে কীভাবে আয়করে ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়?’
প্রসঙ্গত, এর আগে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়োগের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টের নামে ওই মন্দির পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্ট হিডকোর অফিসের ঠিকানা ব্যাবহার করছে। একটা ট্রাস্ট কী করে হিডকো অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে, সেই প্রশ্নও তোলেন মামলাকারী।এছাড়াও দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম আখ্যা দেওয়া এবং প্রসাদ বিতরণকে চ্যালেঞ্জ করেও দিনকয়েক আগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেই মামলা দায়ের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ।