ওড়িশায় বাহানাগায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পিছনে রেল কর্মীদের গাফিলতিকেই দায়ী করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ পরিণতির জন্য তিনজন রেল কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধৃত এই তিন রেল কর্মী সহ মোট সাতজনকে সাসপেন্ড করেছে রেল। এই তালিকায় রয়েছেন অভিশপ্ত বাহানাগা বাজার স্টেশন মাস্টারও। সূত্রে খবর, সাসপেন্ড হওয়া রেল কর্মীদের এই তালিকায় রয়েছেন, সিনিয়র সিগন্যালিং সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মহান্ত এবং মহম্মদ আমির খান, টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। এ ছাড়াও রয়েছেন একজন সিগন্যাল টেকনিশিয়ান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। তবে এখনও পর্যন্ত চারজনের পরিচয় জানানো হয়নি দক্ষিণ- পূর্ব রেলের তরফ থেকে।
২ জুনের যে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে তা আদৌ এড়ানো যেত কি না সেই সম্পর্কে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই অভিযুক্ত রেল কর্মীদের গাফিলতি না থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত। এদিকে বুধবার ফের একবার বাহানাগা বাজার স্টেশন পরিদর্শনে পৌঁছন দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিল মিশ্র এবং খড়গপুর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার কে আর চৌধুরী। সেখানেই অনিল মিশ্র জানান, ‘যে সাতজন রেল কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁদের গাফিলতির জন্যই এই রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। না হলে এটি এড়ানো সম্ভব হত। আর সেই কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রত্যেককে।‘ এদিকে, এই গোটা ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সেই রিপোর্ট দিতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সিনিয়র সিগন্যালিং সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মহান্ত এবং টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারের পোস্টিং ছিল বালেশ্বরে। মহম্মদ আমির খান ছিলেন সোরোতে। বাহানাগা বাজার স্টেশনটি সোরো এবং বালেশ্বরের মাঝে পড়ে, ফলে তাঁরাও সমানভাবে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। শুক্রবার পর্যন্ত এই তিনজনকেই সিবিআই হেপাজতে থাকতে হবে। সিগন্যালিং ব্যবস্থা সামলানোর ক্ষেত্রে এই তিনজনের কাঁধে গুরুদায়িত্ব ছিল।