ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ, জখম ৩

ভাঙড়ে ফের বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমা বাঁধতে গিয়ে চালতাবেড়িয়ায় এই বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় ৩ জন আহত হন। বিস্ফোরণে আহতরা আইএসএফ কর্মী বলেই জানা গেছে। এদিকে আহতদের কলকাতায় আনার সময় বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলায় আহতদের আটকায় পুলিশ।

এ বিষয়ে আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানান, ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বোমাবারুদ বিহীন রাজনীতিই আমাদের লক্ষ্য। কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আরও একটা বিষয় বলা হচ্ছে, বোমা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে। তা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে, নাকি বোমা মারা হয়েছে তাতে ঝলসেছে তাও দেখা দরকার।’ এদিকে তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লার প্রশ্ন, ‘চকমরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে ৩ জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছে। গ্রামের লোকজন কাঁটাতলায় তাঁদের ধরে ফেলে। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে আইএসএফের কর্মীরা এখনও বোমা বাঁধছে? আর নওশাদ সিদ্দিকিকে বলব, কোথা থেকে উনি এত বোমা, বন্দুক সাপ্লাই দিচ্ছেন উত্তর দিন। এই উত্তর আমরা চাই।‘

প্রসঙ্গত, মুড়ি মুড়কির মতো গুলি, পরপর মৃত্যু ঘটে গোটা রাজ্য জুড়ে। ভোট ঘোষণার পর থেকে যে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছিল, গণনার দিনও তা অব্যাহত ছিল ভাঙড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী হাসান মোল্লা, আইএসএফ কর্মী রেজাউল গাজি এবং নিরীহ ভোটার রাজু মোল্লার।

তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃত আইএসএফ কর্মী রেজাউল গাজির দিদি। কারণ তিনি জানান,’ টিএমসির লোকে গুলি করেছে। আরাবুলের লোক, আরাবুলের ছেলে গুন্ডাবাহিনী, সওকত গুণ্ডাবাহিনী এনে পুলিশের ড্রেস পরে গুলি করেছে। পুলিশ ছিল। পুলিশ সঙ্গে ছিল। না হলে পুলিশের ড্রেসটা পরল কী করে? একটা গুণ্ডা হয়ে পুলিশের ড্রেস পরে কী করে? ‘ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ হন জেলা পরিষদের ৮৩ নম্বর আসনের আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুন, তাঁর স্বামী ও বেশ কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − nine =