অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তায় আবার কলকাতায়। কিছু খেলেই বদহজম হয়ে যায়। আর মুখ টক হয়ে আসে। গলা-বুক-পেট জ্বালা করতে থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে এটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা।
সাধারণত মশলাদার খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণেই এই অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকে কাজের চাপে খাবারটাই খেতে ভুলে যান, সেক্ষেত্রেও কিন্তু গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ কিংবা অ্যান্টাসিড সাধারণত খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে কথায় কথায় মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাওয়াটাও কিন্তু কোনও সমাধান নয়! আর তা থেকে বাঁচতে উপায় লুকিয়ে রয়েছে আমাদের রান্নাঘরেই। যা হয়তো জানেন না অনেকেই।
যেমন, শসা পেটের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। পেট ব্যথা হলে তা কমাতে শসার রস খাওয়া যেতেই পারে।
ঘরোয়া টোটকার এই তালিকায় রয়েছে অ্যাভোকাডোও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাসিডিটি বা অম্বল হলে অ্যাভোকাডোর সঙ্গে জ্যুস পান করা উচিত। জ্যুস পান না করতে চাইলে অ্যাভোকাডো ফল হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও দই আর মধুও পেটের প্রদাহ এবং অ্যাসিডিটি বা অম্বল কমাতে সহায়ক। সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক কাপ দইয়ের মধ্যে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এই উপাদান পেট ব্যথা কমায়।
এছাড়াও অম্বল হলে আপনি খেতে পারেন কলা। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত উপাদান পেটের প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
এছাড়াও অম্বল হলে এক কাপ গরম জলে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। তাতে ব্ল্যাক সল্ট অথবা বিট নুন দিতে হবে। এটা অম্বলের সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকর। এছাড়াও উপায় আছে। ঈষদুষ্ণ জলে ২ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলেও অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস জলে ২ চা-চামচ জিরে দশ মিনিট ফুটিয়ে এর পর ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন সকালে এই জল পান করলে পেটের প্রদাহ কমে যায়।
অম্বলের সমস্যা দূর করতে রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করা যেতে পারে।
অম্বলের রোগীদের জন্য তুলসী পাতাও একটি দুর্দান্ত ওষুধ। তুলসী পাতা থেঁতো করে নিয়মিত সেবন করলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও প্রতিদিন বিকালে এবং সন্ধ্যাবেলায় খাবার খাওয়ার আগে কয়েকটি মৌরি ভাল করে চিবিয়ে খেতে হবে। এটি পেটের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।