বাংলাদেশি মডেল–অভিনেত্রী শান্তা পালের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২১ সালে, লালবাজারকে এমনই তথ্য দেওয়া হল বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে। শান্তা নামে ওই মডেল গ্রেফতার হওয়ার পর তার ভিসার ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিল লালবাজার। এদিকে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বিদেশিদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য যে দফতরে নথিভুক্ত থাকে, সেখান থেকেই লালবাজারের হাতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
শান্তার ভিসার ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর নিজের দেশে ফেরেননি শান্তা। প্রশ্ন উঠছে এফআরআরও অর্থাত্ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের নজরদারি নিয়েও। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিদেশি নাগরিক ভারতে এলে নির্দিষ্ট সময় পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তিনি ফিরে যাচ্ছেন কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখে কেন্দ্রীয় এই দফতর। কোনও বিদেশি যদি তাঁদের দেশে ফিরে না যায় তাহলে ওই দফতর পুলিশকে জানায়। এ ক্ষেত্রে তারা যে নজরদারি সঠিকভাবে চালায়নি তা স্পষ্ট।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর ২০২১–এর পরও শান্তা তাঁর দেশে ফেরেননি এবং বিক্রমগড়ের যে ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখানেই এত বছর ধরে থাকছিলেন তিনি। এদিকে শান্তা পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শর্ট ভিডিয়ো থেকেই যা আয় হত, সেটাই তাঁর একমাত্র উপার্জনের রাস্তা ছিল। তিনি কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নন। যদিও এই তথ্য সঠিক কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টিও ব্যাঙ্কের থেকে জানতে চেয়েছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সম্প্রতি কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় এই বাংলাদেশি মহিলাকে। জানা যায় পেশায় তিনি সে দেশের মডেল। পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ যাদবপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে। ধৃতের নাম শান্তা পাল। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতের ভোটার, আধার কার্ড। কীভাবে এল তাঁর কাছে আধার–ভোটার? সেগুলি কি আদৌ বৈধ? সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত।