রিল্যায়ান্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে জারি হল লুক আউট নোটিস । তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে। অনিল আম্বানিকে আগামী ৫ অগাস্ট অনিল আম্বানিকে দিল্লি সদর কার্যালয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অনিলের বিরুদ্ধে ১৭ হাজার কোটিরও বেশি আর্থিক তছরূপের অভিযোগ রয়েছে।
এই অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন অনিল আম্বানি, সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সেই কথা মাথায় রেখেই অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আর্থিক প্রতারণা প্রতিরোধকারী আইনে (পিএমএলএ) শিল্পপতি অনিল আম্বানির বয়ান রেকর্ড করা হবে। অম্বানি গ্রুপে কয়েকজন আধিকারিককেও সমনের নোটিশ দিয়েছে ইডি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই থেকে অনিল আম্বানির ৫০টি কোম্পানি ও ২৫ জন ব্যক্তির ৩৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও ৬৮ কোটি টাকার বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি মামলায় কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের চারটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। শুক্রবারও তল্লাশি অভিযান চলে। সেই সময়েই ইডির তরফে জানানো হয়, অনিলের রিল্যায়ান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার (আর ইনফ্রা)-সহ একাধিক কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।
দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ (সেবি)-র দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে ইডির হাতে একাধিক তথ্য আসে। সেই তথ্য অনুযায়ী ইনফ্রা সেই অর্থ ইন্টার–কর্পোরেট ডিপোজিটস (আইসিডিএস) হিসাবে রিল্যায়ান্স গ্রুপ কোম্পানিকে দিয়েছে ৷ এই লেনদেন করেছে সিএলই নামের আরেকটি কোম্পানি ৷ এদি্কে সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অনিল অম্বানি ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত আর ইনফ্রার বোর্ডে ছিলেন না ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এও জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে রিলায়েন্স অনিল আম্বানি গ্রুপকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক। সেই টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে অনিল আম্বানির সংস্থা। সেই অভিযোগেই তদন্ত করছে ইডি।