ফের অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। বন্ডেল রোডের দে‘জ মেডিক্যাল ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুন। এই আগুনে গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে দমকলকর্মীরা এখনও আগুনের উৎসস্থলের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয়দের কয়েকজন প্রথমে ওষুধের কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন।কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের শিখাও নজের আসে।এরপর দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে।মুহূর্তে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আগুনেরখবর পেয়ে প্রথমে চারটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর আগুন আয়ত্ত্বে না আসায় পাঠানো হয় আরও ৬টি ইঞ্জিন।একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীদের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।দমকলকর্মীরা মই দিয়ে কারখানার একটি অংশের ছাদে যাওয়ার চেষ্টাও করতে থাকেন।
এদিকে এদিন যখন কারখানায় আগুন লাগে তখন ভিতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আগুন দেখে তাঁরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন চারজন শ্রমিক ভিতরে ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সুরক্ষিত আছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘পুরনো বিল্ডিং এবং গলি সরু হওয়ায় দমকলের গাড়ি ভিতরে ঢুকতে পারছিল না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।’
এদিন এই আগুন আতঙ্কে বাড়ির বাইরে চলে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলের আশেপাশের বাড়িগুলি খালি করা হয়েছে। বয়স্ক বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের কথায়, কালো ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া, দমকলের বিরুদ্ধেও দেরিতে আসার অভিযোগও তোলেন তাঁরা।
কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। এছাড়া, কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত রয়েছে। ফলে আগুন ক্রমেই ভয়াবহ আর সর্বগ্রাসী এক আকার ধারণ করে।