আরজি কর–কাণ্ডের পর বছর ঘুরেছে। প্রতিবাদের আগুন যে নিভে যায়নি তার প্রমাণ মিলছে এই একবছরে নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে। এতো সবের মাঝে আবার একটা অগাস্ট মাস ফিরে এসেছে। আবারও নতুন করে আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্তরে। আগামী ৯ অগাস্ট নেওয়া হয়েছে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনাও। এমনই এক প্রেক্ষিতে হঠাত্–ই চিকিৎসকদের সমন করে বসলো কলকাতা পুলিশ। তিলোত্তমা–কাণ্ডের পর আন্দোলনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা অগ্রভাগে ছিলেন তাঁদের কাছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে নোটিস।
এদিকে সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে চিকিৎসক মানস গুমটা, সুবর্ণ গোস্বামী, কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার, কৌশিক চাকিদের কাছে গেছে এই সমন। আর এই সমন পাঠানো হয়েছে গত বছর পুজোর সময় যে আন্দোলন হয়, তাকে কেন্দ্র করেই এই সমন। আর তা পাঠানো হল এবছর পুজোর আগে। সূত্রে এ খবরও মিলেছে, মোট তিনটি মামলায় সমন পাঠানো হয়েছে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের।
সূত্রে এ খবরও মিলেছে, এই তিনটি কেসের নম্বর হল ২৫৯, ২৬১ ও ২৬৩। ২৫৯ নম্বর কেসে মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডোরিনা পর্যন্ত মিছিলের জন্য মামলা রুজু হয়। পুজো পরিক্রমা করার জন্য কেস নম্বর ২৬১ ও মহাঅষ্টমীর দিন মেট্রো চ্যানেলে জমায়েত এবং যন্ত্রপাতি বাজিয়ে ‘দ্রোহের উৎসব’ পালন করার জন্য দেওয়া হল ২৬৩ নম্বর কেস। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এক বছর পর কেন হঠাত্ সমন পাঠানো হল তা নিয়ে। আর এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
এদিকে আগামী ৯ অগাস্ট তিলোত্তমা–কাণ্ডের এক বছর পর ফের রাস্তায় নামছেন সিনিয়র–জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার আগে কলকাতা পুলিশের এই নোটিস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক সংগঠন জেপিডি। একইসঙ্গে এই প্রশ্ন তুলেছেন, চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই। প্রসঙ্গত, গত বছর ৯ অগস্ট আরজি কর মে়ডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ওই দিনই ‘অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা–বাবা।