টাটা ক্যাপিটাল, টাটা গ্রুপের ফাইন্যান্স কোম্পানি, ২০২৫ অর্থবর্ষে তাদের সামাজিক কাজের মাধ্যমে সারা ভারতে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবনে পৌঁছতে পেরেছে। জল, পরিচ্ছন্ন শক্তি, স্বাস্থ্য আর শিক্ষা, এই চারটে ক্ষেত্রেই তারা নজরকাড়া কাজ করেছে।
এর পাশাপাশি কোম্পানির বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের পাশে থেকে ভারতের স্বপ্নপূরণে দায়িত্বশীল সহযোগী হওয়াই তাদের পাখির চোখ। তাই ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক আর পরিবেশবান্ধব উদ্যোগেও তারা সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। যা ভবিষ্যতে চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, জল সংরক্ষণে ‘জলআধার’ প্রকল্প মহারাষ্ট্র, রাজস্থান আর তামিলনাড়ুর ২০০–রও বেশি গ্রামে চালানো হয়েছে। এতে ২,৫০০ মিলিয়ন লিটার জলসংগ্রহের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, ৭৯০+ জলাশয় সংস্কার করা হয়েছে, প্রায় ৫.৪ লাখ মানুষের উপকার হয়েছে, গড়ে ৫.৫ মিটার জলস্তর বেড়েছে আর কৃষকের আয় বছরে প্রায় ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ‘গ্রিন সুইচ’ প্রকল্পে সৌরশক্তি পৌঁছেছে ১৯টা গ্রামে, যেখানে ১,২০০+ বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে আর প্রায় ৭,৫০০ মানুষ আলোর মুখ দেখেছে। এই প্রকল্পের হাত ধরে এখনও পর্যন্ত ৯৯টা গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে আর ২০,০০০–এরও বেশি মানুষ লাভবান হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বার্ষিক আয় গড়ে প্রায় ৪০,০০০ টাকা বেড়েছে।
এছাড়াও ‘আরোগ্যাতারা’ প্রকল্পে প্রায় ৬.১ লাখ মানুষকে চোখের পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার ফলে ৪৪,০০০–এরও বেশি মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর অপারেশন করাও সম্ভব হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এতদিনে ১৪০,০০০+ চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবনে নতুন আলো দেখেছেন।
‘পাঙ্খ’ বৃত্তি কর্মসূচি আবার অনেক ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় সাপোর্ট করেছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে ১২,০০০+ যুবক–যুবতী মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ২৫,০০০–এরও বেশি শিক্ষার্থী এর থেকে উপকৃত হয়েছে।