সামনেই দুর্গাপুজো। আর তার ঠিক আগে তানিষ্ক নিয়ে এল ‘আবাহন’ কালেকশন। মা দুর্গাকে আবাহন জানাতে সারা বাংলা যখন মুখিয়ে থাকবে সেই মুহূর্তকে আরও পরিপূর্ণতা দিতে তানিষ্কের এই নিবেদন।অর্থাত্, নতুন উৎসব কালেকশন এই ‘আবাহন’।যার মধ্য দিয়ে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা ও সমৃদ্ধ নৈপুণ্যকে সম্মান জানাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় গয়নার ব্র্যান্ড তানিষ্ক।যেখানে ধরা পড়েছে বাংলার নারীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, ঐতিহ্যে লালিত সৌন্দর্য এবং সংস্কারে গড়া শক্তির প্রকাশ।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ‘আবাহন’ হলো দেবত্ব, সৃজনশীলতা আর ঐতিহ্যকে আহ্বান করার এক পবিত্র রীতি। বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বুননে এটি সেসব নারীর জন্য, যারা নিজের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা করেন, আবার নির্ভয়ে ভবিষ্যৎও গড়ে তোলেন। সূক্ষ্ম কারুকার্যে নির্মিত এই দুর্গাপুজোর উৎসর্গ করা হয়েছে সেই নারীদের জন্য, যারা শুধু সংস্কৃতিকে অনুসরণই করেন না, বরং নিজেদের মতো করে তাকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন। বাংলার প্রকৃত সোনার পরিচয় হলো সেই নারীরা—যারা গর্বের সঙ্গে শিকড়কে ধারণ করেন এবং প্রত্যেক সাহসী পদক্ষেপে ঐতিহ্যকে নতুন করে রূপ দেন। তারা অতীতকে সম্মান জানালেও ভবিষ্যৎকে নির্ভয়ে নিজেদের মতো করে নির্মাণ করেন।
দুর্গাপুজোর এই কালেকশনের প্রেরণা এসেছে শোলার কারুকাজ থেকে—যা নির্মলতা, সৌন্দর্য ও উৎসবের আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক; দাকের সাজের পবিত্র অলংকার থেকে; আর তারাকাশি ফিলিগ্রির সূক্ষ্ম নিখুঁত কাজ থেকে। প্রতিটি মোটিফ, যা একসময় দেবীর জন্য সংরক্ষিত ছিল, তানিষ্কের দক্ষ শিল্পীরা তাকে নতুনভাবে কল্পনা করেছেন সাহসী, সমকালীন সোনার অলংকারে। যেখানে ঐতিহ্যের কবিতাকে অটুট রাখা হয়েছে, আবার আধুনিক নারীর আত্মপরিচয় ও অন্তর্গত অনুভবের সঙ্গেও মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
এই কালেকশন একদিকে প্রতিদিনের স্টাইলের সঙ্গে মানানসই, আবার অন্যদিকে কনে ক্রেতাদের জন্যও উপযুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রানি হার, টাই হার, গগো পাশা, চোকার, কাণবালা, ঝুমকা প্রভৃতি। কালেকশনটি উদ্বোধন করেন বাংলার খ্যাতনামা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং তনিশ্ক্-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিটেল ও মার্কেটিং) অরুণ নারায়ণ। এর পাশাপাশি তানিষ্ক প্রকাশ করেছে সুজিত সরকার পরিচালিত তাদের নতুন দুর্গাপুজোর বিজ্ঞাপন ‘সৃজনিস অফ নিউ বাঙালিয়ানা।’ এটি বাংলার সেই নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি—যারা শুধু সংস্কৃতিকে আপন করে নেন না, বরং সাহসের সঙ্গে তাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িতও করেন।
দীপ্তিময় টেক্সচার, আত্মবিশ্বাসী সিলুয়েট এবং এমন এক নকশার ভাষায় গড়া এই সংগ্রহ, যা উদযাপন করে বাঙালীয়ানার সৃজনিদের—যাঁরা বাঙালী সংস্কৃতির স্রষ্টা, বাংলার খাঁটি সোনার মতোই শিল্পকলা ও আত্মার প্রতীক। এই কালেকশন আজকের চেতনায় অনুপ্রাণিত হলেও তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যে বঙ্গ সংস্কৃতির শিকড় যেন দৃঢ়ভাবে প্রোথিত। যা প্রতিফলিত করে বাঙালী নারী এক উত্তরাধিকারের প্রতিমূর্তি। আর ইতিহাসের পরতে পরতে জড়িয়ে সমৃদ্ধ এক শিল্পকলা, যুক্তি, সংস্কার আর দৃঢ়তা।
প্রথম দিকের নারী-ক্ষমতায়ন আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিদিনের নীরব কিন্তু দৃঢ় সিদ্ধান্ত—সব ক্ষেত্রেই তাঁর আত্মা সৃষ্টিকারীর। তিনি শুধু ঐতিহ্যকে রক্ষা বা ব্যাখ্যা করেন না, তিনি তাকে নতুনভাবে আত্মস্থ করেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পুনর্নির্মাণ করেন, আর গড়ে তোলেন এমন এক সংস্কৃতি যা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের। ‘আবাহন’–এর মাধ্যমে তানিষ্ক উদযাপন করছে সেই অটল সৃষ্টিশীল শক্তিকে—যে নারী বাংলার আত্মাকে এগিয়ে নিয়ে যান, আবার নির্ভয়ে গড়ে তোলেন তার ভবিষ্যৎ। একইসঙ্গে, ব্র্যান্ড পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছে এমন গয়না তৈরি করতে, যা তাঁর মতোই চিরন্তন, অনন্য এবং প্রেরণাদায়ক।
এই প্রসঙ্গে অরুণ নারায়ণ, ভাইস প্রেসিডেন্ট – রিটেল ও মার্কেটিং, তানিষ্ক, টাইটান কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড বলেন,’তানিষ্ক-এ আমরা বিশেষ নজর রাখি আধুনিক বাঙালি মহিলাদের ঐতিহ্য আর অগ্রগতির এক মিলনস্থল হিসেবে—যিনি নিজের শর্তে তাঁর শিকড়কে বারবার নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেন। আমাদের পুজো ক্যাম্পেইন সেই শক্তিকেই উদযাপন করছে, যা আমরা উৎসর্গ করছি নতুন বাঙালীয়ানার সৃজনিদের প্রতি। আমরা সমানভাবে আনন্দিত আবাহন সংগ্রহকে উপস্থাপন করতে, যা দুর্গাপুজোর পবিত্র শিল্পকলার অনুপ্রেরণায় তৈরি। প্রতিটি গয়না ভক্তির প্রতীককে জীবন্ত করে তোলে, মা দুর্গার আশীর্বাদকে আহ্বান করে এবং বাংলার সংস্কৃতি ও দুর্গাপুজোর মহিমাকে উদযাপন করে।’
পুজোর আনন্দকে আরও বিশেষ করতে, তানিষ্ক দিচ্ছে সোনার গয়নায় প্রতি গ্রামে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড়* এবং হিরের গয়নায় মূল্যে সর্বোচ্চ ২০% পর্যন্ত ছাড়*। পশ্চিমবঙ্গের সব তনিশ্ক্ শোরুমে উপলব্ধ এই সংগ্রহ, গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানায় নিখুঁত কারুকাজে গড়া গয়নার মাধ্যমে উৎসবের আবহকে গ্রহণ করতে—যা বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানায়।