ভারতের অন্যতম বৃহৎ সমন্বিত বিদ্যুৎ সংস্থা টাটা পাওয়ার ঘোষণা করেছে যে, তাদের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সঞ্জীব চুড়িওয়ালাকে সম্মানিত করা হল সম্মানজনক ‘সিএফও অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে (সব বিভাগের মধ্যে)। এই পুরস্কারটি হায়দরাবাদে সিআইআই-এর পক্ষ থেকে ২০২৪-২০২৫ সালের চতুর্থ সিএফও এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-এর অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়। এই স্বীকৃতি সঞ্জীব চুড়িওয়ালা আর্থিক দক্ষতা, টেকসই উন্নয়ন এবং কৌশলগত মূল্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের প্রতিফলন।
‘সিএফও অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে সঞ্জীব চুড়িওয়ালাকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে টাটা পাওয়ারে সংস্থার এক বড় সবুজ জ্বালানি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলায় তাঁর নেতৃত্ব, অধিগ্রহণ ও একত্রীকরণ, এবং ফান্ড সংগ্রহে তাঁর দক্ষতার জন্য। একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রিপ্রাপ্ত সঞ্জীব চুরিওয়ালা গত ৩০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রূপান্তর, সুশাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি মূল্য সৃষ্টির পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এর পাশাপাশি চুড়িওয়ালা র নেতৃত্বে টাটা পাওয়ার তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও মজবুত করেছে, অর্থ বিভাগের ডিজিটাল রূপান্তরকে অগ্রসর করেছে এবং মূলধন বরাদ্দকে দীর্ঘমেয়াদি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছে।
এই পুরস্কার, যা দেশের ফিন্যানশিয়াল লিডারদের জন্য অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। মাননীয় উপমুখ্যমন্ত্রী, তেলেঙ্গানা শ্রী ভাট্টি বিক্রমার্কা মল্লু, -এর উপস্থিতিতে এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিল্পজগতের লিডারদের , নীতিনির্ধারক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমাবেশে সঞ্জীব চুড়িওয়ালার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিআইআই-এর প্রদত্ত এই সম্মান টাটা পাওয়ার-এর লক্ষ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি একটি দারুন স্বীকৃতিকে প্রতিফলিত করে, যেখানে আর্থিক পরিচালনা একটি সবুজ ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনের সঙ্গে সমানভাবে অগ্রাধিকার পায়।
সিআইআই–এর সিএফও এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডস হল ভারতের আর্থিক নেতাদের জন্য অন্যতম সম্মানজনক স্বীকৃতি। এই পুরস্কার একটি স্বাধীন বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, এবং এর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠোর, যা অর্থ বিভাগের সব ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে। বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয় একটি সুচিন্তিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যেখানে কেবল আর্থিক ফলাফল নয়, বরং সুশাসনে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন,ডিজিটাল রূপান্তর এবং নৈতিক অনুশীলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিও বিবেচনায় নেওয়া হয়।