এক প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশে ভারতের ১ নম্বর প্রিমিয়াম ইন্টারন্যাশনাল প্রিস্কুল ব্র্যান্ড, ক্যাঙারু কিডস ইন্টারন্যাশনাল প্রিস্কুল, কলকাতার ২০টির বেশি জায়গায় দুর্গাপুজো উদযাপন করল। এই পুজোয়অংশগ্রহণ করেছিল এক হাজারেরও বেশি তরুণ শিক্ষার্থী। শিশুদের ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারায় মগ্ন করার জন্যে পরিকল্পিত এই উদযাপনের মধ্যে ছিল আনন্দ, কিছু শেখা এবং সৃজনশীলতা। ফলে বাঙালির সবচেয়ে বড় আর প্রিয় উৎসব সদর্থেই হয়ে ওঠে জীবন্ত।
উদ্ভাবনীমূলক এবং শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গির জন্যে প্রসিদ্ধ ক্যাঙারু কিডস শিশুদের একাত্মতা, সৃজনশীলতার মূল্যবোধ শিখিয়েছে। উৎসবের এমন সব কাজের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক বোধ গড়ে তুলেছে যেখানে খেলা আর শেখা মসৃণভাবে একে অপরের সঙ্গে যেন মিলেমিশে একাকার। দেবী দুর্গার সম্পর্কে গল্প বলার সেশন থেকে শুরু করে হাতে কলমে শিল্প এবং মাটির মূর্তি তৈরি করা, প্রদীপ সাজানো আর উৎসবের ইলাসট্রেশন – এসব নিয়ে কৌতূহল, কল্পনা এবং সানন্দ অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।
এই উদযাপনে সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীও ছিল, যেখানে শিশুরা প্রথাগত পোশাক পরে নাচ, গানবাজনা এবং অভিনয়ে অংশগ্রহণ করে। এতে তারা এমন একটা মঞ্চ পেয়েছে যেখানে নিজেদের প্রকাশ করা যায় এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কেন্দ্রগুলোকে শিশুরা পুজো থিমের কারুকার্য দিয়ে সাজিয়েছিল। এতে আরও বেশি করে বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে একাত্মতা এবং গর্ববোধ লালিত হয়।
কেভিএস শেষাসাই, সিইও, প্রি-কে ডিভিশন, লাইটহাউস লার্নিং (ক্যাঙারু কিডস ইন্টারন্যাশনাল প্রিস্কুল) বলেন, ‘ক্যাঙারু কিডসে আমরা বিশ্বাস করি যে প্রত্যেকটা উদযাপনই হল সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ লালন করার একটা সুযোগ। দুর্গাপুজোর মত উৎসব শিশুদের প্রথা, একাত্মতা এবং প্রকাশভঙ্গি এমনভাবে শেখায় যা স্কুলে শেখা সম্ভব নয়। আমাদের উদযাপনগুলো সুচিন্তিত উপায়ে কিউরেট করা হয়েছে একথা নিশ্চিত করার জন্যে যে শিশুরা মনের দিক থেকে, সামাজিক দিক থেকে এবং সৃজনশীলতার দিক থেকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। যেন শেখা একটা সত্যিকারের আনন্দময় যাত্রা হয়ে উঠতে পারে।’
দুর্গাপুজোর মত উদযাপনের মধ্যে দিয়ে ক্যাঙারু কিডস মগ্ন হয়ে থাকার মত এবং মানসিকভাবে সমৃদ্ধ শেখার পরিবেশ তৈরি করে চলবে। এর ফলে কেবল জ্ঞানই লালন করা হবে না, সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং মূল্যবোধও লালন করা হবে। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানই আত্মবিশ্বাসী, সহমর্মিতাসম্পন্ন এবং একজন সম্পূর্ণ ব্যক্তি গড়ে তোলার প্রথম ধাপ হয়ে উঠবে।